|
কুয়াকাটায় দুই শত বছর পুরান ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা ও পূণ্যস্নান উৎযাপিত
তুষার হাওলাদার, কলাপাড়া
|
![]() কুয়াকাটায় দুই শত বছর পুরান ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা ও পূণ্যস্নান উৎযাপিত ভোরের প্রথম আলো ফোটার আগেই কুয়াকাটা সৈকতে জড়ো হতে থাকনে হাজারো সনাতনী ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত এই রাস মেলায় পুণ্যস্নানের মধ্য শেষ হয় মূল আনুষ্ঠানিকতার। বুধবার ভোর ৬টার দিকে জাগতিক পাপ তাপ মোচনের আশায় সৈকতের নোনা জলে গঙ্গাস্নান করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। স্নানের আগে সনাতনী নারীরা সৈকতে মোমবাতি, আগরবাতি, বেলপাতা, ফুল, ধান, দূর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর অর্পণ করেন সমুদ্রের জলে। এ সময় উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত এলাকা। অনেকেই মাথা ন্যাড়া করে প্রায়শ্চিত্ত ও পিণ্ডদান করেন মানত পূরণের অংশ হিসেবে। এর আগে রাতভর কুয়াকাটা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় পূজার্চনা, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মহানাম কীর্তন। “এই দিনে পাপমোচনের মুহূর্ত আসে-তাই সনাতনী ভক্তরা ভগবানের গুণকীর্তন শেষে সমুদ্রস্নানের মাধ্যমে শান্তি প্রার্থনা করে থাকে।” ভক্তরা জানান, “প্রতি বছর আমরা এই মেলায় আসি। এটা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান না, আমাদের ঐতিহ্যর অংশ।” দুইশত বছরের এই ঐতিহ্য এখন কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই রাসমেলা পরিণত হয়েছে দেশব্যাপী লোকজ ঐতিহ্যের মিলনমেলা। আর কুয়াকায় পর্যটনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মেলাকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা নিরাপত্তা ছিল কঠোর জোরদার। পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও প্রশাসনের তৎপরতায় নিশ্চিন্তে উৎসব উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
