ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ৫ নভেম্বর ২০২৫ ২০ কার্তিক ১৪৩২
রুমার প্রংফুংমগ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: তিন শিক্ষকের দায়িত্ব এখন এক জনের কাঁধে
অংবাচিং মারমা, রুমা
প্রকাশ: Wednesday, 5 November, 2025, 2:35 PM

রুমার প্রংফুংমগ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: তিন শিক্ষকের দায়িত্ব এখন এক জনের কাঁধে

রুমার প্রংফুংমগ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: তিন শিক্ষকের দায়িত্ব এখন এক জনের কাঁধে

বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদর ইউনিয়নের বগালেকগামী সড়কের পাশে অবস্থিত প্রংফুংমগ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে চরম শিক্ষক সংকট। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে পুরো বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, ফলে এলাকার শতাধিক শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে শিক্ষা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়টি সড়কের একেবারে পাশে হলেও বেশিরভাগ শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। সরকারি বেতন-ভাতা ঠিকই তোলা হয়, কিন্তু দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা লক্ষ্য করা যায়। মাসের পর মাস শহরে অবস্থান করেই অনেকে ‘মৌখিক ছুটি’র অজুহাতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। এতে পাহাড়ি জনপদের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

আজ (বুধবার) ৫ নভেম্বর সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়— বিদ্যালয়ে কেবল একজন শিক্ষক উপস্থিত থেকে একাই সব শ্রেণির পাঠদান চালাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রবণ কান্তি দেব বলেন, আজ বিদ্যালয়ে শুধু আমি রয়েছি। অন্য দুইজন শিক্ষক আসেননি।”ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি।

সহকারী শিক্ষক ফয়সাল বিন মোস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি “প্রধান শিক্ষকের মৌখিক অনুমতি নিয়ে” গত চার দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো লিখিত ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত থাকা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল—এই প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্য সহকারী শিক্ষক মো. মহিউদ্দীনের মোবাইল ফোন একাধিকবার চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া গেছে, ফলে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন,“আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে খালি ক্লাসরুম দেখে ফিরে আসে। সরকার এত উদ্যোগ নিচ্ছে, কিন্তু শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার উন্নয়ন হবে কীভাবে?

পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ শেষের দিকে, কিন্তু একদিনও তিনজন শিক্ষক একসঙ্গে ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না। প্রায় সব ক্লাসই একজন শিক্ষক একাই পরিচালনা করেছেন।

অভিভাবক ও স্থানীয়রা জানান, এভাবে যদি শিক্ষা কার্যক্রম চলতে থাকে, তবে পাহাড়ি অঞ্চলের শিশুরা অন্ধকারেই থেকে যাবে। তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতি জোর আহ্বান জানান— 

অবিলম্বে শিক্ষক সংকট নিরসন, অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশিষ চিরান বলেন,সরকারি ছুটি ব্যতীত কিংবা ছুটির আবেদন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status