|
রাউজানে চাঞ্চল্যকর 'আলমগীর' হত্যাকান্ডে আরও এক যুবক গ্রেপ্তার
বিধান বিশ্বাস, চট্টগ্রাম
|
![]() রাউজানে চাঞ্চল্যকর 'আলমগীর' হত্যাকান্ডে আরও এক যুবক গ্রেপ্তার পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত রাজু হত্যাকাণ্ডের সময় নিহতের পেছনের মোটরসাইকেলে ছিলেন। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, যদিও নিহতের বাবার করা মামলায় তার নাম ছিল না। গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে আলমগীরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনের একটি অটোরিকশায় ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহতের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়। রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলমগীর নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারে রাজুর নাম ছিল না। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর প্রকাশ আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীরের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। ওসি জানান, গ্রেপ্তার রাজু পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। রবিবার (২ নভেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০) গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিহত আলমগীর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
