|
ক্লাউড সিডিং: আকাশে বৃষ্টি বোনার বিজ্ঞান, খরা দূর করার আশা
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() ক্লাউড সিডিং: আকাশে বৃষ্টি বোনার বিজ্ঞান, খরা দূর করার আশা ক্লাউড সিডিং কী? ক্লাউড সিডিং হলো একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে মেঘের মধ্যে রাসায়নিক উপাদান (যেমন: সিলভার আয়োডাইড, সোডিয়াম ক্লোরাইড বা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে মেঘ থেকে বৃষ্টি বা বরফপাত বৃদ্ধি করা যায়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি হলো মেঘকে প্রস্তুত করা যাতে তারা বেশি জল ধারণ করে এবং বৃষ্টি আনে। কেন ক্লাউড সিডিং করা হয়? ক্লাউড সিডিংয়ের মূল লক্ষ্য হলো: বর্ষা নিয়ন্ত্রণ: বিশেষ করে খরা প্রবণ এলাকায় কৃষি বা পানির চাহিদা মেটাতে। পানি সঞ্চয় ও জলসম্পদ বৃদ্ধি: জলাধার, নদী এবং ভূগর্ভস্থ পানি বাড়াতে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ: ধূলিঝড় বা অতিবৃষ্টির সম্ভাবনা কমাতে। শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি: কৃষি ও উদ্যানজাতীয় ফসলের জন্য পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করা। কবে এবং কিসের জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে? ক্লাউড সিডিংয়ের ধারণা প্রথম উদ্ভাবন করেন ভেলিমার বুয়েন্ডিয়া (Veerimar Buendía) এবং পরে ব্যাপকভাবে গবেষণা করেন ভিন্টার ক্র্যামার (Vincent Schaefer) এবং বার্টন ওয়েটলিং (Berton Wolters) ১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত, এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল খরা মোকাবেলার জন্য এবং পানি সংরক্ষণে সহায়তার উদ্দেশ্যে। পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাণিজ্যিক ও সরকারি প্রকল্পে ব্যবহার শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য: ড. আবু সাইদ, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞানী, বলেছেন, ক্লাউড সিডিং হলো একটি কার্যকর উপায়, কিন্তু এটি প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখে করতেই হবে। অতিরিক্ত বা অযাচিত সিডিং পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে খরা নিয়ন্ত্রণ ও কৃষি উন্নয়নে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশেও কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু রয়েছে, যা ভবিষ্যতে দেশের কৃষি ও পানি সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
