|
নিরাপত্তা বেষ্টনি ছিঁড়ে জীবনের ঝুঁকিতে পথচারীরা, গাজীপুরে মহাসড়ক পারাপারে ভয়াবহ চিত্র
ফাহিম ফরহাদ, গাজীপুর
|
![]() নিরাপত্তা বেষ্টনি ছিঁড়ে জীবনের ঝুঁকিতে পথচারীরা, গাজীপুরে মহাসড়ক পারাপারে ভয়াবহ চিত্র ঢাকা এলিভেটেড ২য় এক্সপ্রেসওয়ে গাজীপুর মহাসড়ক — দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম যান চলাচলের একটি পথ। কিন্তু প্রতিদিনই এখানে ঘটছে এক ভয়াবহ দৃশ্য — জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথ পারাপার হচ্ছেন হাজারো মানুষ। সড়কের পাশে বসানো নেট বেষ্টনি, যা পথচারীদের নিরাপত্তার জন্যই তৈরি — সেটিই এখন অনেক জায়গায় ছিঁড়ে গেছে। কেউ কাটছে নিজ হাতে, কেউ আবার ওই ফাঁকা অংশ দিয়েই পারাপার হচ্ছেন। এভাবে প্রতিদিনই বয়স্ক, শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা পাড়ি দিচ্ছেন মহাসড়ক, ঠিক সামনেই দ্রুতগামী যানবাহন প্রতিনিয়তই ছুটে চলেছে আপন গতীতে। “আন্ডারপাস অনেক দূরে, যেতে সময় লাগে। তাই এই দিক দিয়াই যাই। কিন্তু ভয় লাগে গাড়ির স্পিডে।” নিরাপদ আন্ডারপাস থাকলেও দূরত্ব ও অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই সেটি ব্যবহার করছেন না। যেখানে লাখো পথচারীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে আন্ডারপাস, সেখানে এখন ধুলো জমছে বসানো হয়েছে অস্থায়ী হকারদের দোকান কিংবা ত্রী-হুইলার পার্কিং স্থান — ব্যবহারের চেয়ে অবহেলাই বেশি চোখে পড়ছে। স্থানীয়রা সংযোগ সড়কের নিকট আন্ডারপাস প্রত্যাশা করেন। এদিকে জিএমপি'র ট্রাফিক বিভাগের (নর্থ) এডিসি অমৃত নতুন সময়কে বলেন, “আমরা প্রতিদিনই মানুষকে নিষেধ করি, কিন্তু তারা শোনে না। নেট কেটে ফেলা ও মই বসানোর বিষয়েও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” স্থানীয় প্রশাসন বলছে, বেষ্টনি ছেঁড়ার ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তবে সচেতন না হলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়। সচেতন মহল বলছেন এক মুহূর্তের অসাবধানতায় চলে যেতে পারে একটি জীবন। সচেতনতার অভাব আর অব্যবস্থাপনা মিলিয়ে ঝুঁকির এই চিত্র দিন দিনই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। নিরাপত্তা বেষ্টনি মানেই জীবনের সুরক্ষা — কিন্তু সেটি ছিঁড়ে পারাপার মানে বিপদের দাওয়াত। অল্প সচেতনতাই বাঁচাতে পারে অমূল্য জীবন ও স্থানীয় জনপ্রাণ। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
