|
আগামী ৩ দিনের নন-শিডিউল ফ্লাইটের খরচ মওকুফ করেছে সরকার
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() আগামী ৩ দিনের নন-শিডিউল ফ্লাইটের খরচ মওকুফ করেছে সরকার রোববার (১৯ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর কার্গো গেটের সামনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গতকাল দুপুর সোয়া ২টা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর ৩৭টি ফায়ার ইউনিট মিলে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ আগুন নেভানো সম্ভব হয়। ড্যামেজ অ্যাসেসমেন্টের কাজ চলছে। ধ্বংসের অর্থনৈতিক ও ওজনের পরিমাণ নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া খাতভিত্তিক পরিমাণ নির্ণয়েরও চেষ্টা আমরা করছি। তিনি বলেন, আমাদের করণীয় নির্দিষ্ট করার জন্য আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল রাত ৯টা নাগাদ এয়ারপোর্ট চালু করা, আমরা সেটা করতে পেরেছি। প্রায় ২১টার মতো ফ্লাইট ডাইভার্ট ও ক্যানসেল (বাতিল) করতে হয়েছিল। যাত্রীসাধারণের কষ্ট লাঘব করার জন্য আমরা একটা অর্ডার ইস্যু করেছি। যার মাধ্যমে আগামী তিন দিন যত নন-শিডিউল ফ্লাইট আসবে, তার সমস্ত খরচ আমরা মওকুফ করে দেব। তা ছাড়া যাত্রীদের খাওয়াদাওয়া, সেবার যাবতীয় দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। তবে আমাদের প্রচেষ্টার পরেও কিছু ব্যত্যয় থেকে যেতে পারে। কারণ, একত্রিতভাবে আমাদের অনেক ইস্যু হ্যান্ডেল করতে হচ্ছে। যাত্রীসাধারণ যে কষ্ট পেয়েছেন, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। এর আগে, শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক সোয়া ২টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি-রপ্তানির কার্গো ভিলেজ এলাকায় হঠাৎ ধোঁয়া দেখা যায়। দিনের আলোতেও আগুনের লেলিহান শিখা দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। নির্ধারিত উড্ডয়ন ফ্লাইট স্থগিত রেখে অবতরণ ফ্লাইটগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে রাত ৯টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট, বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপক ইউনিট এবং বেবিচকের নিজস্ব কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনী অগ্নিনির্বাপক দলকে সহায়তা করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
