|
দুর্যোগ প্রশমনে ইসলামের শিক্ষা ও সতর্কবার্তা
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() দুর্যোগ প্রশমনে ইসলামের শিক্ষা ও সতর্কবার্তা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃতির এই বিপদগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা বা সতর্কবার্তা হলেও, তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামে দুর্যোগ এলে শুধু প্রার্থনা বা ধৈর্যের ওপর নির্ভর না করে বাস্তব ও যৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণকে দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়। আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ধরো ও ধৈর্যে অটল থাকো এবং পাহারায় নিয়োজিত থাকো। আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা আলে ইমরান: ২০০)। এটি প্রমাণ করে যে বিপদের সময় ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি সচেতনতা ও প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রস্তুতি গ্রহণে গাফিলতিকে দায়িত্বহীনতা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিপদ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখে, সে আল্লাহর নিকট সন্তুষ্ট হয়। তবে, যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয় না, সে দায়িত্বহীন।’ (জামে তিরমিজি: ২১৭৯)। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের গুরুত্বগুলো—যেমন সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ, সামাজিক সহায়তা এবং সুব্যবস্থাপনা—ইসলামের সামাজিক দায়িত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইসলামে সমাজ ও সম্প্রদায়কে দুর্যোগ মোকাবিলায় পরস্পর সহযোগিতার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রার্থনা, সাহায্য প্রদান এবং সতর্কতা গ্রহণের মাধ্যমেই বিপদে পূর্ণ সুরক্ষা সম্ভব। সুতরাং, দুর্যোগ প্রশমন দিবস আমাদের শেখায় যে প্রকৃতির বিপদকে অবহেলা করা যায় না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাদের মানবীয় দায়িত্ব—দুর্যোগে ধৈর্য রাখা, প্রস্তুতি নেওয়া এবং সহমর্মিতা দেখানো—এই তিন মূলনীতির ওপর অবিচল থাকার আহ্বান জানায়। আমাদের উচিত শুধু সচেতন হওয়া নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় সহায়তা করা। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
