ধর্মপাশায় কোর্ট চত্বরে স্বামীর ছুরি আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আটক
শাহ মোঃ মনির হোসেন
|
![]() ধর্মপাশায় কোর্ট চত্বরে স্বামীর ছুরি আঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আটক পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮থেকে১০ বছর আগে উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আব্দুল হেকিম মীর্জার ছেলে আক্তার হোসেনের (৪০) সঙ্গে পাশের নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার দেওথান গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে শরীফা আক্তারের বিয়ে হয়। গত কয়েক বছর ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় এক বছর আগে শরীফা আক্তার তাদের সাড়ে তিন বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়। আর কাজি নোটিশের মাধ্যমে সে তার স্বামীকে তালাক দেয়। এর পর স্বামী আক্তার হোসেন তার স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরিয়ে আনার জন্য ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। সোমবার (৬অক্টোবর) সকালে শরীফা আক্তার তার শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই মামলায় হাজিরা দিতে আদালত চত্বরে আসেন এবং আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল হাই এর সঙ্গে পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ঘাতক স্বামী আক্তার হোসেনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর এক ফাঁকে ঘাতক স্বামী আক্তার হোসেন আকষ্মিকভাবে পেছন থেকে তার পিঠে ছুরি আঘাত করেন। ঘটনার ঘটার সাথে সাথেই স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। তার হাতে থাকা হামলায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করে। এর পরে স্থানীয়রা শরীফাকে দ্রুত ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। শরীফার খালাতো ভাই বাবুল মিয়া বলেন, প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস আগে শরীফা কাজি নোটিশের মাধ্যমে তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে। নোটিশের কাগজপত্র আমাদের হাতে আছে। শরীফার এমন মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাতক স্বামী আক্তার হোসেনের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেন। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আক্তার হোসেনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |