চবির দুই আহত শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
চবির দুই আহত শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি দুই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে রয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইসমাঈল হোসেন। তার নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সংঘর্ষে মাথায় গুরুতর আঘাত পান মামুন মিয়া। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার মাথার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে চিকিৎসা চলছে। ব্যান্ডেজে লেখা রয়েছে হাড় নেই, চাপ দিবেন না। চারদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত অবস্থায় কেবিনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসক ডা. ইসমাঈল বলেন, মামুন এখন স্থিতিশীল। আরও দুই দিন পর্যবেক্ষণে রেখে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে দুই মাস পর তার মাথার খুলি পুনঃস্থাপন করা হবে। মামুনের বড় ভাই মাসুদ রানা জানান, মামুন এখন কথা বলতে পারছে, তবে আমরা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না। ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অপর আহত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ সায়েমের অবস্থা তুলনামূলক জটিল। সংঘর্ষে মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে তিনি পাঁচ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। চিকিৎসকরা জানান, তার চেতনার মাত্রা (Glasgow Coma Scale) এখন ১২, যা আগের ৫৯ থেকে উন্নতি হয়েছে। একটি সুস্থ মানুষের স্কোর হয় ১৫। চিকিৎসকদের ভাষায়, সায়েমের নিউরোলজিকাল ও অন্যান্য শারীরিক প্যারামিটার উন্নতির দিকে যাচ্ছে, তবে রক্তক্ষরণজনিত জটিলতা রয়েছে এবং সেরে উঠতে সময় লাগবে। সায়েমের বাবা আমির হোসেন ও মা শাহনাজ বেগম হাসপাতালে দিনরাত অবস্থান করছেন এবং ছেলের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিবেশ। বৃহস্পতিবার সীমিত আকারে ক্লাস হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, রোববার থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |