|
গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ব্যারাক দখল, স্থানীয় নেতা অভিযুক্ত
মোঃ মাহবুবুল হাসান,চিলমারী
|
![]() গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ব্যারাক দখল, স্থানীয় নেতা অভিযুক্ত স্থানীয়রা জানায়, চিলমারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে আশ্রয়ণ ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে। ধারাবাহিকতায় চিলমারী ইউনিয়নের মধ্য কড়াইবরিশালে একটি প্রকল্পে ৩৫টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো ব্যারাকের ঘরগুলো সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। যার ফলে কেউ যে যার মতো রুম ব্যবহার করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ওবাইদুল ইসলাম একটি ব্যারাকের পাঁচটি রুমসহ নতুন ঘর তৈরি করে দখল নিয়েছেন। প্রকল্পটিতে ৩৫টি ব্যারাকে মোট ১৭৫টি পরিবার থাকার উপযোগী ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বছরের পর বছর পার হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। এর ফলে ওই বিএনপি নেতাসহ আরও কিছু পরিবার পাঁচ পরিবারের পরিবর্তে একাই একটি ব্যারাক ব্যবহার করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সাদেক মিয়ার স্ত্রী রোমানা বেগম বলেন, “আমাদের থাকার জায়গা না থাকার কারণে আমরা দুটি ঘর নিয়েছি। মানুষ আসলে একটা ঘরই ছাড়বে।” ইউপি সদস্য এরশাদুল হক জানান, “এখনো আশ্রয়ণ ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। তবে সব দখল হয়ে গেছে। ওবাইদুল যা করছে, এটি মোটেও ঠিক নয়। তিনি ঘরের দেয়াল ভাঙতে পারেন না।” অভিযুক্ত ওবাইদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য এই ব্যারাক নিয়েছি। কক্ষের দেয়াল ভাঙার বিষয়টি ভুলবশত ঘটেছে। এটি ৫–৭ দিন আগে হয়েছে।” চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, “সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পটি এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। কেউ ঘর দখল করলেও চারদিক ঘেরার সুযোগ নেই।” উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আবু হানিফা বলেন, “যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক জানান, “বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
