|
উপদেষ্টা আসিফ ভোরে খেতে যান নীলা মার্কেটে, বন্ধ থাকলে গুলশানের ওয়েস্টিনে
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() উপদেষ্টা আসিফ ভোরে খেতে যান নীলা মার্কেটে, বন্ধ থাকলে গুলশানের ওয়েস্টিনে তিনি দাবি করেন, এই ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাকে একজন নেতার বাসায় জোরপূর্বক বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ প্রতিক্রিয়া জানান। আসিফ মাহমুদের জানান, রাতে মাঝে মধ্যে কাজ শেষ করতে কখনও কখনও ভোর হয়ে যায়, ওই সময় খাবার দেওয়ার জন্য বাসায় কেউ থাকে না। বেশিরভাগ সময় তখন তিনি ৩০০ ফিটের নীলা মার্কেটে যান। ওখানে খুব ভালো হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। ৪-৫ জন মিলে সেখানে যান। আবার ভোর হয়ে গেলে সেখানে দোকান বন্ধ থাকে। তখন গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে যাওয়া হয়। তবে জানে আলম অপু তার বক্তব্যে যেদিন আসিফ মাহমুদ গুলশানে গিয়েছিলেন এবং দুইজনের দেখা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন, সেদিন ওখানে গিয়েছিলেন কি না খেয়াল নেই এই উপদেষ্টার। এরপর সাংবাদিকেরা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কাছে জানতে চান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা মোটরসাইকেলে করে যাওয়া ব্যক্তি কি তিনি-ই ছিলেন? আসিফ মাহমুদ জবাব দেন, সিসিটিভি ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমাকে বলে দাবি করা হয়, এটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য? বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই এ নিয়ে বেশি মন্তব্য করা উচিত না। তিনি বলেন, আসলে আমার নামটা আসার পর আমি অবাক-ই হই। জানে আলম অপুকে চিনতাম, যখন আমি ছাত্র অধিকার পরিষদে ছিলাম, ২০২২ সালে। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তখন, সে-ও ছাত্র অধিকার পরিষদ করতো। সে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে ছিল বোধয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তার সঙ্গে আমার কখনও দেখা হয়নি। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের একটি অভিযোগ আসার পর আবার আরেক জায়গা থেকে জানতে পারলাম, স্ত্রী পরিচয়ে একজন সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন অপুকে গুম করে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টরুমে এগুলো হতো, আমাদের এখানে আয়নাঘর ছিল, ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর এগুলো অকার্যকর। আবারও সেই প্র্যাকটিসের দিকে যাচ্ছি কি না! একটা শঙ্কার বিষয় আছে! |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
