|
অলিখিত ফাইনালে আজ, নেপালের সঙ্গে ড্র করলেই শিরোপা বাংলাদেশের
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() অলিখিত ফাইনালে আজ, নেপালের সঙ্গে ড্র করলেই শিরোপা বাংলাদেশের ভারত না থাকায় আগেই ধরে নেওয়া হয়েছিল নেপালই বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পথে বড় বাধা। নেপালের ক্ষেত্রেও ছিল তাই—বাংলাদেশই দলটির মাথাব্যথার বড় কারণ। এবারের টুর্নামেন্টে দুই ফেবারিটের প্রথম দেখায়ও ছিল লড়াইয়ের ঝাঁজ। শেষ পর্যন্ত নেপাল হেরেছে ৩–২ গোলে। সেই জয় বাংলাদেশকে শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে রাখলেও আছে অন্য হিসাব। আজ নেপালের কাছে ন্যূনতম ব্যবধানের হারেই হাতছাড়া হয়ে যাবে ট্রফি! যার মানে শিরোপা জিততে হলে এই ম্যাচে অন্তত নেপালের সঙ্গে ড্র করতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার অবশ্য তাঁর কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনতে চান না। নেপালকে হারিয়েই মেয়েদের নিয়ে শিরোপা উৎসব করতে চান তিনি। তাই প্রথম মিনিট থেকে গোছানো ফুটবলের সঙ্গে আক্রমণের পসরা মেলে ধরতে চান বাটলার। সে অনুযায়ীই পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ইংলিশ কোচ। নেপালের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনাল নিয়ে বাটলার বলেছেন, ‘নেপাল শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদের সঙ্গে শেষ কয়েকটি ম্যাচের মতো খেললে হবে না। আমরা সেরা দলটাই নামাব। যতটা সম্ভব আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে। আক্রমণই হবে আমাদের মূল অস্ত্র।’ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯–১ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। যে ম্যাচে বাংলাদেশের আক্রমণভাগের কান্ডারি ছিলেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। করেন হ্যাটট্রিক। এরপর নেপাল ম্যাচেও আলো ছড়ান তিনি। কিন্তু সেদিন মাঠে প্রতিপক্ষ ফুটবলার সিমরান রাইয়ের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ানোয় তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয় সাগরিকাকে। আজ আবার মাঠে দেখা যেতে পারে তাঁকে। সাগরিকার সঙ্গে আক্রমণভাগে বাটলারের আস্থার নাম তৃষ্ণা রানী ও উমেলা মারমা। প্রথম একাদশেই এই তিনজনেক রাখতে পারেন কোচ। আর মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরির কাজটা করতে হবে তিন মিডফিল্ডার স্বপ্না রানী, মুনকি আক্তার ও সিনহা জাহান স্বপ্নার। নেপালও নিশ্চিতভাবে ছেড়ে কথা বলবে না। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের কাছে এক হার ছাড়া নিজেদের বাকি চারটি ম্যাচেই দারুণভাবে জিতেছে নেপাল। প্রতিপক্ষের গোলমুখে এখন আতঙ্কের নাম পূর্ণিমা রাই ও মিনা দেউবা। দুজনই এই প্রতিযোগিতায় দুটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন। পূর্ণিমার গোল ১০ আর মিনার সাতটি। আজ বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের জন্য দুজন হতে পারেন বড় হুমকি। সব মিলিয়ে নেপাল প্রতিপক্ষকে দিয়েছে ৩০টি, খেয়েছে চারটি। টুর্নামেন্টে দলটির গোলপার্থক্য +২৬। নেপালের এই গোলের বন্যা আর গোলপার্থক্যই আজ বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার বড় কারণ। এ ম্যাচে নেপালের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলে দুই দলের পয়েন্ট সমান ১৫ হবে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে প্রথম বিবেচনায় আনা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল। প্রথম দেখায় নেপালকে ৩–২ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আজ নেপাল জিতলে বিবেচনা করা হবে মুখোমুখি হওয়া দুই ম্যাচে দুই দলের গোলপার্থক্য। নেপাল ২ গোলের ব্যবধানে জিতলে চ্যাম্পিয়ন হবে তারাই। আর ন্যূনতম ১ গোলের ব্যবধানে জিতলে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের গোলপার্থক্য ও গোল করার হিসাব সমান হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে টুর্নামেন্টের গোলপার্থক্য। এখানেই পিছিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ২৪ গোল দেওয়ার পাশাপাশি খেয়েছে চারটি, গোলপার্থক্য +২০। এর মানে একটাই—শিরোপা জিততে হলে অলিখিত এ ফাইনালে অন্তত ড্র করতেই হবে বাংলাদেশকে! |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
