ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ৭ নভেম্বর ২০২৫ ২২ কার্তিক ১৪৩২
ভারতকে এড়িয়ে চীন-পাকিস্তানের প্রতি ঝুঁকছে বাংলাদেশ?
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Sunday, 1 June, 2025, 9:11 PM

ভারতকে এড়িয়ে চীন-পাকিস্তানের প্রতি ঝুঁকছে বাংলাদেশ?

ভারতকে এড়িয়ে চীন-পাকিস্তানের প্রতি ঝুঁকছে বাংলাদেশ?

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নানা ইস্যুতে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন।
 
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দিল্লি-ঢাকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সীমান্তে ‘পুশ-ইন’ পরিস্থিতি, বাণিজ্য জটিলতা, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতের কড়া অবস্থান।  

এই টানাপোড়েনের বিপরীতে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা দৃশ্যত বাড়তে শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় সফর, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বেইজিং ও ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে— বাংলাদেশ কি কৌশলগতভাবে ভারতকে পাশ কাটিয়ে চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে?

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন 
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের মধ্যে দিয়ে এই টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।

থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের জন্য প্রথমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। এই  বৈঠক নিয়ে প্রথমে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেই বৈঠকের কদিন পরেই ভারত বাংলাদেশের ট্রান্সশিপপমেন্ট বাতিল করে।  

বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এমনটি জানায়। হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লিকে কূটনৈতিক নোট দিলেও তা নিয়ে দৃশ্যত কোনো পদক্ষেপ নেই।

গত এপ্রিলে  বন্দর ব্যবহার করে অন্য দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারত বাতিল করে। দেশটি গত কয়েক বছর ধরে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়ে আসছিল। প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছিলো, ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ হয়তো বড় কোনো সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বলা হচ্ছে, কোনো সমস্যা দেখছে না তারা।

ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ সুতা আমদানি বন্ধ করার এক মাসের মাথায় মে মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক পণ্য, ফলমূলসহ অন্তত সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এসব পণ্যের মধ্যে আরও রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, কোমল পানীয়, সুতা, প্লাস্টিক ও পিভিসি সামগ্রী, কাঠের তৈরি ফার্নিচার ইত্যাদি।

ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবিতে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা হয়। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে এই হামলা চালান। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

এদিকে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়ের অপহরণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা। তবে ভারতের এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ।  

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন আরও বেড়েই চলেছে। দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন থাকলেও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা পাঠান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে সম্প্রতি চীনে গিয়েছিলেন। এই সফরে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। চীন সফরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া তাইওয়ান ইস্যুতে খুব স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বাংলাদেশ তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে।

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি যোগাযোগ ও চিকিৎসা সেবাখাতেও সহযোগিতা বাড়ছে। চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হিসেবে চীনের প্রতি ঝুঁকছে বাংলাদেশ। সে কারণে চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশিদের জন্য চারটি বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশেও চীনের অর্থায়নে একটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে চীনের কুনমিংয়ের সঙ্গে আরও যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী হচ্ছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের সঙ্গে কুনমিংয়ের সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই রুটে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাত প্রসারিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে চীনের ভাবমূর্তি কেমন তার ওপর সম্প্রতি এক গবেষণা চালায় চীনা দূতাবাস। গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ চীন সম্পর্কে ইতিবাচক। ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি চীন-বাংলাদেশের সম্পর্কে নিয়ে সন্তুষ্ট। এ ছাড়া বাংলাদেশের অনেক মানুষ সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এবং উচ্চশিক্ষার জন্য চীন ভ্রমণে আগ্রহী।

ঢাকায় সম্প্রতি এক বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও দুটি সমঝোতা স্মারক সই করেন। বৈঠকে কৃষিতে ড্রোন প্রযুক্তি, ফিশিং জাহাজ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। চীন স্মার্ট কৃষি, ডিজিটাল প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে। বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমশক্তি ও ডেমোগ্রাফিক সুবিধা তুলে ধরে চীনা বিনিয়োগ আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে গতি
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর চীনের পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও সম্পর্কে গতি পাচ্ছে বাংলাদেশের।  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শেহবাজ শরীফের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এরইমধ্যে দুই দফা বৈঠক হয়েছে।  

প্রথম দফায় তাদের মধ্যে বৈঠক হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে। দ্বিতীয় দফায় দুই দেশের সরকার প্রধান বৈঠক করেন মিসরে ডি-এইট সম্মেলনে সাইডলাইনে। সেখানে তারা দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করতে একমত হন।

গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে প্রথম নিয়মিত কার্গো শিপিং রুট চালু করে। এরপর সাত বছর পর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় শুরু হয়। নতুন বছরেও এই গতি অব্যাহত থাকে। জানুয়ারিতে পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি যৌথ পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উন্নয়নশীল ইসলামিক দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ডি-এইট সম্মেলনের সাইডলাইনে শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী। এর জবাবে, অধ্যাপক ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাব দেন এবং এর সম্মেলন ঢাকায় আয়োজনের আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ঢাকা সফর করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। তিনি পররাষ্ট্রসচিব এম জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া ২৭ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের। তবে কাশ্মীরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রত্যাশিতভাবে এই সফরটি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে স্থগিত করা হয়।  

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে এই সফরটি আবার চূড়ান্ত হবে। আর এই সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে আরও গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সম্পর্কের উন্নতি শুধু অর্থনৈতিক সহযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। জানুয়ারিতে, বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা পাকিস্তান সফর করেন, যেখানে যৌথ সামরিক মহড়া ও অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়। সম্পর্কের প্রসার শিক্ষা ও সংস্কৃতিতেও ছড়িয়ে পড়েছে।  

কী বলছেন বিশ্লেষকরা
বাংলাদেশ এখন ভারতকে এড়িয়ে চীন ও পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে কি না, মন্তব্য জানতে চাইলে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন , প্রতিটি দেশের এখন একটি আলাদা অবস্থান রয়েছে। '৫০ বা '৬০ এর দশকে যেমন বিভিন্ন দেশের বলয় ছিল, এখন আর কোনো দেশের সেই সুযোগ নেই।  

তিনি বলেন, ভারত, চীন বা পাকিস্তান প্রতিটি দেশের আলাদা অবস্থান রয়েছে। সেই বিবেচনায় এই তিন দেশের সঙ্গেই আমাদের পৃথকভাবে সম্পর্ক রাখতে হবে। কোনো দেশকে বাদ দিয়ে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার এখন সুযোগ নেই।

জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অরগানাইজেশনের ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপিং ইকোনমিজের নির্বাহী সহ-সভাপতি মায়ুমি মুরায়ামা নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, গত এক দশক ধরে ভারত ও বাংলাদেশ এমনভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে, যেন দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের অস্তিত্বই ছিল না। তার মতে, ইউনূসের সার্ক পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা মূলত পাকিস্তানকে আবার দক্ষিণ এশীয় কাঠামোয় ফিরিয়ে আনা এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে হাসিনা-পরবর্তী সময়ে পুনর্বিন্যাস করার একটি উদ্যোগ।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত ও চীন উভয় দেশের সঙ্গেই ভারসাম্যপূর্ণ একটি সম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ হিসেবে অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের যেমন স্বাভাবিক সম্পর্ক, পাকিস্তানের সঙ্গেও তেমন সম্পর্ক রাখতে চাই। তাদের সঙ্গে আমরা খারাপ হিসেবে দেখতে চাই না।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status