ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
পাকিস্তানের প্রতিশোধের ভয়ে বন্ধ ভারতের ২১ বিমানবন্দর
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Thursday, 8 May, 2025, 10:16 AM

পাকিস্তানের প্রতিশোধের ভয়ে বন্ধ ভারতের ২১ বিমানবন্দর

পাকিস্তানের প্রতিশোধের ভয়ে বন্ধ ভারতের ২১ বিমানবন্দর

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা যুদ্ধের রূপ ধারণ করতে চলেছে ইতোমধ্যে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা হুমকি-ধমকির পর এবার বাস্তবিকই পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের কয়েকটি স্থানে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে দিয়েছে ভারত। এ হামলার কঠিন জবাব দিতে উঠেপড়ে লেগেছে পাকিস্তানও। 

ভারতের হামলার পরপরই দেশটির ৫টি অত্যাধুনিক বিমানসহ একটি সেনা সদরদপ্তর গুড়িয়ে দিয়েছে তাদের সেনারা। এমনকি ভারতকে কঠিন জবাব দিতে প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতিও পেয়ে গেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ভারতকে তার হামলার চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এমন অবস্থায় উত্তরাঞ্চলের কমপক্ষে ২১টি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। 

বুধবার (৭ মে) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে সামরিক অভিযান শুরুর পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব বিমানবন্দর ১০ মে ভোর ৫টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বন্ধ রাখা এসব বিমানবন্দরগুলো কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মির ও লেহ-এর পাশাপাশি পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাটের মতো রাজ্যগুলোতে অবস্থিত। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের বড় একটি অংশ বাতিল হয়েছে।

এছাড়া ভারত থেকে আন্তর্জাতিক কিছু ফ্লাইটও বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কারণ পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করতে না পারায় অনেক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে।

দ্য হিন্দু বলছে, বন্ধ থাকা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রধান বিমানবন্দরগুলো হলো: জম্মু ও কাশ্মিরের জম্মু, শ্রীনগর ও লেহ, পাঞ্জাবের অমৃতসর, চণ্ডীগড়, পাতিয়ালা, হালওয়ারা, হিমাচল প্রদেশের শিমলা, ধর্মশালা, রাজস্থানের জোধপুর, বিকানের, জয়সালমের, কিশনগড়, গুজরাটের ভুজ, জামনগর, রাজকোট, মুন্দরা, পোরবন্দর, কান্ডলা এবং কেশোদ।

এছাড়া গোয়ালিয়র ও হিন্ডন বিমানবন্দরও এই তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এই বিমানবন্দরগুলোর অনেকগুলোই বেসামরিক ও সামরিক উভয় ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করে।

ভারতীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিগো এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তারা ১১টি বিমানবন্দর থেকে ১৬৫টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। অন্যদিকে এয়ার ইন্ডিয়া ৯টি বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বাতিল করেছে। আর এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অমৃতসর, গোয়ালিয়র, জম্মু, শ্রীনগর ও হিন্ডন থেকে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে।

পাশাপাশি আরেক বাজেট এয়ারলাইন্স স্পাইসজেট লেহ, শ্রীনগর, জম্মু, ধর্মশালা, কান্ডলা ও অমৃতসরের ফ্লাইট বাতিল করেছে। অন্যদিকে আকাশ এয়ার শ্রীনগরের সব ফ্লাইট ৯ মে পর্যন্ত বাতিল করেছে।

দ্য হিন্দু বলছে, বুধবার সকাল থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এ দেখা গেছে, নয়া দিল্লির উত্তরাংশে বাণিজ্যিক কোনো ফ্লাইট চলছিল না, একমাত্র দেহরাদুন ছাড়া।

সামাজিক মাধ্যমে যাত্রীদের সতর্ক করার পাশাপাশি ফ্লাইট স্ট্যাটাস দেখে ভ্রমণ পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিচ্ছে বিভিন্ন এয়ারলাইনস। বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর জন্য বিনামূল্যে রিশিডিউল বা সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

অন্যদিকে মার্কিন বিমান সংস্থা আমেরিকান ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনস তাদের দিল্লিগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়া পশ্চিম এশিয়া ও ইউরোপ থেকে আসা কিছু ফ্লাইট বিকল্প বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে।

ইউনাইটেড এয়ারলাইনস জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা দিল্লির ফ্লাইট বাতিল করেছি। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে যা এখন। 

গত মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে অন্তত ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দাবি করছে পাকিস্তান।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যায়িত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এমনকি পারমাণবিক শক্তিধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ খুব দ্রুত শেষ হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

তবে, বুধবার (৭ মে) দারাদিন যুদ্ধের উত্তাপ লক্ষ্য করা গেছে দুদেশের মধ্যে। সকাল থেকে কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি হামলার পর নিজেদের সামরিক বাহিনীকে হামলা জোরদারের অনুমোদন দিয়েছে ইসলামাবাদ। ভারতের হামলায় ঝরা প্রতি ফোঁটা রক্তের চরম বদলা নেওয়া হবে বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।   



Copied from: https://rtvonline.com/

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status