অষ্টগ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের দোকান দখলের অভিযোগ
এম এ আজিজ, কিশোরগঞ্জ
|
![]() অষ্টগ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের দোকান দখলের অভিযোগ এমনি অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলন থেকে নিতাই চন্দ্র বণিকের ভাই গৌরাঙ্গ বণিক অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই নিতাই চন্দ্র বণিক ২০০০ সালের ১৪ জুন সোনাই দীঘিরপাড় এলাকার আব্দুল হেকিমের কাছ থেকে অষ্টগ্রাম বড় বাজারে আধা শতাংশ জায়গাসহ দোকানটি কিনেছিলেন। যার বর্তমান খতিয়ান নম্বর ২১৪৫ ও দাগ নম্বর ১০১০। দোকানের দাতা আব্দুল হেকিম ও গ্রহিতা নিতাই বণিক ইতোমধ্যে মারা গেছেন। প্রয়াত নিতাই বণিকের ছেলে মানিক চন্দ্র বণিক ও তাঁর ভাই আরাধন চন্দ্র বণিকের নামে দোকানটি খাজিও করা হয়েছে। দোকানটি এলাকার জসিম মিয়ার কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল। তিনি মোবাইল ফোন ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রির ব্যবসা করছিলেন। এই ভাড়াটিয়া জসিম মিয়াকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ওয়াজ মিয়া, দানা মিয়া ও জয় মিয়ারা বের করে দিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। তাদের বাবা আব্দুল হেকিমের নাম লেখা ব্যানারও ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এখন দখলদাররা তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। ফলে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে দোকান দখলের অভিযোগ জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ওসির কাছেও আবেদন করেছেন। মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ওয়াজ মিয়া জানান, নিতাই চন্দ্র বনিকের কাছে আধা শতাংশ জায়গা বিক্রি করা হলেও তাদের দখলে বাড়তি আরও আধা শতাংশ জায়গা রয়েছে। এই বাড়তি জায়গাটুকু ছেড়ে দেওয়ার জন্য বার বার বলার পরও তারা জায়গা ফেরত দিচ্ছেন না। সেই কারণেই তালা দেওয়া হয়েছে। তবে মানিক বণিকদের ক্রয় করা জায়গা অক্ষত আছে। আর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে পাশের জায়গায়। ১৪৪ ধারা ভেঙে আমরা কোনো কাজ করিনি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আমরা বসে ছিলাম কিন্তু মিমাংসা করতে পারিনি। বর্তমানে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |