|
মশার বংশবিস্তারের কারখানা যেন হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
শুভংকর পোদ্দার, মানিকগঞ্জ
|
![]() মশার বংশবিস্তারের কারখানা যেন হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো ছিটানো পলিথিন, পানির বোতলসহ ময়লার স্তুপ। ড্রেনে প্রচুর পরিমাণে মশা। ড্রেনের জমে থাকা ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। দেখে বোঝা যাচ্ছে দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয়না ড্রেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা এক রোগী বলেন, হাসপাতালের মশার বংশবিস্তারের স্থান নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে মশার বংশবিস্তার রোধ করা সম্ভব। যাদের পরিষ্কার করার দায়িত্ব, তারা নিয়মিত পরিষ্কার করেন না। চিকিৎসা নিতে এসে মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাবিবুর রহমান নামের একজন বলেন, "আমি সিজারিয়ান রোগী নিয়ে এসেছি। হাসপাতালে প্রচুর পরিমাণে মশা। অন্য রোগীদের জন্য মশারী থাকলেও সিজারের রোগীদের মশারী নাই।" কলতা থেকে আসা সোনিয়া আক্তার বলেন, হাসপাতালে অনেক মশা। রাত্রে মশার যন্ত্রণায় ঘুমাতে কষ্ট হয়। মশারী কিনে এনেছি। বাচ্চাকে মশারীর মধ্যে রাখি। এ বিষয়ে মমঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গেলে পাওয়া যায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী এ কে এম রাসেল কে। পরে তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ৯ টা ৩০ মিনিটে অফিসে ঢুকেছে জানিয়ে বলেন, রোগীদের জন্য মশারীর ব্যবস্থা আছে। তাদের মশারী দেওয়া হয়। রোগীর স্বজনদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়েও আমরা কাজ করবো। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
