ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
লাশের অবয়বে সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীর
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Monday, 3 February, 2025, 12:49 PM

লাশের অবয়বে সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীর

লাশের অবয়বে সবাই বাংলাদেশি বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীর

লিবিয়ার পূর্ব উপকূলে মোট ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা লিবিয়া থেকে নৌযানে করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ৫৬ জন আরোহী নিয়ে নৌযানটি গত ২৫ জানুয়ারি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়।

এরপর ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ২৩টি মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে। গলিত ওই মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত না হওয়া গেলেও স্থানীয় সূত্রের বরাতে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, তাঁদের প্রায় সবাই বাংলাদেশি।

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, ২৩ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর লিবিয়ার ব্রেগা অঞ্চলের আজদাদিয়া হাসপাতালে সেগুলোর গোসল করানো হয়। সেই কাজে একজন বাংলাদেশি যুক্ত ছিলেন। গলিত লাশের অবয়ব দেখে তাঁর মনে হয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের সবাই বাংলাদেশি।


দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, মরদেহগুলো বাংলাদেশিদের বলে ধারণা করছেন দাফনে যুক্ত থাকা লোকজনও। তাঁদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে লিবিয়া রেডক্রস জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর থেকে তীরে ভেসে আসা ২৩ জনের সবাই বাংলাদেশি। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দুজন বেনগাজি মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তাঁদের পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাকি ৩১ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনো অজানা।

 রোববার সন্ধ্যায় লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে একটি নৌকা ৫৬ জন যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। খুব সম্ভবত ২৫ তারিখ রাতেই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উপকূলে মরদেহ ভেসে আসতে থাকে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ২৮ জানুয়ারি সাতজন, ২৯ জানুয়ারি ১১ জন, ৩০ জানুয়ারি ৩ জন ও ৩১ জানুয়ারি ২ জন—মোট ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো আজদাদিয়া এলাকায় সমাহিত করা হয়েছে। লাশগুলো পচে গিয়েছিল। এগুলো রাখার কোনো উপায় ছিল না। লাশ উদ্ধার ও দাফনের সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁরা রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লোকজন। তাঁরা জানিয়েছেন, অববয়ব দেখে তাঁদের মনে হয়েছে, লাশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের। তবে লাশগুলোর সঙ্গে কোনো ডকুমেন্ট (নথিপত্র) ছিল না।

রাষ্ট্রদূত বলেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া দুজনকে সেনাবাহিনী বা পুলিশের কোনো একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ বাকি ব্যক্তিদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। দূতাবাস থেকে ব্রেগা এলাকায় যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছেন। তবে এখনো অনুমতি পাওয়া যায়নি।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের বেনগাজি মূলত বিদ্রোহী জেনারেল হাফতারের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে সফল হয়নি। এমন এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কাজে যুক্ত দ্বার-আল লিবিয়া নামের একটি সংগঠনের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। জীবিত ও মৃতদের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দূতাবাস। পাশাপাশি স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। স্বজনদের মাধ্যমেও কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status