|
স্বামী আমার বোনের মেয়ের গায়ে হাত দেয়
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() স্বামী আমার বোনের মেয়ের গায়ে হাত দেয় পরিচয় গোপন রেখে যেকোনো ধরনের মানসিক টানাপোড়েনের বিষয় আমাদের জানাতে পারেন এখানে প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৪ বছর। প্রথম সন্তানের মা হতে চলেছি। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ঘটনায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে আমার মাথায়। আমার স্বামী আমার বোনের মেয়ের গায়ে হাত দেয়, কিছুদিন আগে সেটা জানতে পারি। এরপর ধরতে পারি সে পরকীয়ায় আসক্ত। আমি একেবারেই ভেঙে পড়েছি। আমি স্বাবলম্বী না, ডিভোর্স দিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। তার উপর সন্তানের মা হচ্ছি। মনে হচ্ছে আত্নহত্যা করি। উত্তর: আমাদের জীবনের সাফল্য-ব্যর্থতা, ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়গুলো আমাদের নিজেদের উপর নির্ভরশীল। এ ব্যপারে অন্যদের উপর নির্ভরশীল বা ইমোশনালি ডিপেন্ডেন্ট হলে আমরা কখনোই শান্তি পাবো না। নিজের সুখকে অন্যদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর ছেড়ে দিলে কষ্টই শুধু বাড়বে। তাছাড়া সুখ এবং দুঃখ উভয়েই জীবনের অপরিচ্ছেদ্য অংশ, একে-অপরের পরিপূরক। কোনও না কোনও ভাবে জীবনের অপরিহার্য দুঃখের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সবাইকেই যেতে হবে। এ কারণে, দুঃখের জন্য নিজের পারিপার্শ্বকে বা অন্যকে দায়ী করা অর্থহীন। বরং সুখকে আমরা যেমন ভালোবাসি, দুঃখকেও তেমনি জীবনের অপরিহার্য অভিজ্ঞতা হিসাবে ভালোবাসতে হবে। তাহলেই দুঃখের তীব্রতা কমে যাবে। আমাদের জীবনের সকল সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান আমাদের হাতে নেই। কোনও সমস্যার সমাধান যখন হওয়ার, তখনই হবে; আগে বা পরে নয়। ইমোশনালি সেলফ ডিপেন্ডেন্ট হওয়ার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করুন- ১. নিজের সকল বৈশিষ্ট্যকে ভালোবাসুন: যখন আপনি নিজের সকল বৈশিষ্ট্যকে নিঃশর্তভাবে আপন করে নিতে পারবেন এবং ভালোবাসতে পারবেন, তখনই আপনি নিজেকে পরিপূর্ণ (সেলফ কনটেনডেড) মনে করতে পারবেন। ২. আত্মবিশ্বাস বাড়ান: আপনার নিজের মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন। আত্ম-সহায়তামূলক বই পড়া, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করা বা নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি এটা করতে পারেন। রিভার্স মেডিটেশন এ ব্যপারে অত্যন্ত সহায়ক। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
