ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রাখতেন হাসিনা, দেয়া হতো না মায়ের দুধ!
নতুন সময় ডেস্ক
প্রকাশ: Wednesday, 22 January, 2025, 12:24 PM

শিশুদেরও গোপন কারাগারে রাখতেন হাসিনা, দেয়া হতো না মায়ের দুধ!

শিশুদেরও গোপন কারাগারে রাখতেন হাসিনা, দেয়া হতো না মায়ের দুধ!

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে ফ্যাসিস্ট এই প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের নানা অপকর্ম। তার আমলে ঘটা ভয়ংকর এক অপরাধের তথ্য প্রকাশ করেছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড। এতে বলা হচ্ছে, পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গোপন কারাগারে আটকে রাখতেন শিশুদেরও। এমনকি তাদের পান করতে দেওয়া হতো না মায়ের দুধ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মা-বাবার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হতো এসব শিশুদের। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭৭ বছর বয়সি হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ঢাকা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, যিনি ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের মাধ্যমে তার পতনের পর পুরনো মিত্র ভারতে পালিয়ে যান।
 
হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে; যার মধ্যে শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং আরও শত শত লোককে বেআইনিভাবে অপহরণ ও গুম অন্তর্ভুক্ত।
 
কমিশন বলেছে, তাদের কাছে এমন একাধিক যাচাইকৃত ঘটনা রয়েছে যেখানে নারীরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছে। ২০২৩ সালেও এসব ঘটনা ঘটেছে। একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার দুই ছোট বাচ্চাসহ গোপন বন্দীশালায় আটকে রেখে মারধর করা হয়েছিল। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না।
 
‘কখনো ফিরে আসেনি’
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী তদন্তকারীদেরকে গোপন বন্দীশালার সেই কক্ষটি দেখিয়েছেন যেখানে তাকে শৈশবে তার মায়ের সঙ্গে রাখা হয়েছিল। এই বন্দীশালাটি ছিল র‌্যাবের। তার মা আর ফিরে আসেনি।
 
আরেকটি ঘটনায়, এক দম্পতি এবং তাদের শিশুকে আটক করা হয়েছিল। শিশুটির বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ‘মানসিক নির্যাতনের এক রূপ হিসেবে’ শিশুটিকে মায়ের দুধ পান করতে দেয়া হয়নি।
 
ক্ষমতায় থাকাকালীন হাসিনার সরকার জোরপূর্বক গুমের ঘটনা অস্বীকার করতো। তাদের দাবি, নিখোঁজদের মধ্যে কয়েকজন ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছেন।
 
কমিশন বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অপহরণ করা প্রায় ২০০ বাংলাদেশি এখনও নিখোঁজ।
 
কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে বলেন, ‘কিছু ভুক্তভোগী তাদের নির্যাতনকারী অফিসারদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে না পারলেও, তাদের সাক্ষ্য ব্যবহার করে জড়িত বাহিনীকে শনাক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে, আমরা কমান্ডারকে জবাবদিহি করার সুপারিশ করব।’

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status