|
ঝিনাইগাতীর ধানশাইলে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি
আলিফ জাহান লাবন, ঝিনাইগাতী
|
![]() ঝিনাইগাতীর ধানশাইলে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি এতে স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়ন থেকে শ্রীবরদী উপজেলার সঙ্গে সংযোগ সড়কের সোমেশ্বরী নদীর বাগেরভিটায় ২০ মিটার সেতু নির্মাণকাজ হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি সেতুটি নির্মাণের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালে ঠিকাদার ও নিয়োগ দেয়া হয়। নির্মাণ কাজটির ঠিকা পায় শেরপুরের ধ্রব টেডার্স। ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল সেতুর কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে গত বছরের ৫ আগষ্ট বিপ্লবে শেখ হাসিনা পলায়নের পর কাজ ফেলে লাপাত্তা হয়ে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু নির্মাণ শুরুর পর থেকেই কাজ করা হয় ধীরগতিতে। এতে এ পথে যাতায়াতকারী দুই উপজেলার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পথে দুই উপজেলার মধ্যে যান ও চলাচল বন্ধ রয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুর পাশ দিয়ে পথচারীদের যাতায়াতের জন্য যে একটি ডাইভার্সন পথ করে দেয়া হয়েছিল তাও পাহাড়ি ঢলে তা ভেঙে গেছে। ফলে এ পথে লোকজনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা নির্মাণাধীন সেতুর পাশ দিয়ে পায়ে চলাছলের জন্য একটি টিনের প্ল্যানসিটের সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার হচ্ছে। এতে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। কাজ ফেলে চলে যাওয়ার বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শেরপুর এলজিডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। অপর দিকে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সেতুটির নির্মাণ কাজ করা পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, শেরপুর এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করে যাতে কাজটি দ্রুত করা যায় সে জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
