বরিশাল মেট্রো পলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার এক চুরি মামলায় আদালতের তলবের মুখে পড়েন থানার ওসি জাকির শিকদার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বাসুদেব। ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় জনতা সায়েম নামে এক অটোরিকশা চালককে সন্দেহজনকভাবে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে, ৩১ ডিসেম্বর সিরাজ সরদার নামে এক ব্যক্তিকে বাদী করে চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নম্বর: জিআর ২৯৮/২৪)।
সায়েমের পরিবার জানায়, তিনি ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার রাতে সুজন নামে একজনকে ভাড়া নিয়ে কিছু মালামাল পরিবহনের সময় জনতা অটোরিকশা থামায়। সায়েমের সঙ্গে থাকা দুই ব্যক্তি পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পহেলা জানুয়ারি সায়েমকে আদালতে হাজির করার পর তিনি জানান, তাকে আগের রাতে আটক করা হলেও আদালতে সময়মতো হাজির করা হয়নি। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিচারক থানার ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন।
আদালতে হাজির হয়ে ওসি জাকির শিকদার নিজেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাবি করে ক্ষমা চান। বিচারক তাকে সতর্ক করে ক্ষমা করলেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বাসুদেবকে শোকজ নোটিশ জারি করেন।
সায়েমের মা অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। শুধুমাত্র ঘুষ না দেওয়ার কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় বরিশাল বারের সিনিয়র আইনজীবী উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, “আইন অনুযায়ী, গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির করা বাধ্যতামূলক। তা না হলে এটি আদালত অবমাননার শামিল।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) রুনা লায়লা জানান, “ঘটনাটি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত জানা নেই। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর আদালতপাড়ায় বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়, যা পুলিশি কার্যক্রম ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে