ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ডিজিএমের ছত্র ছায়ায় টাকা আত্মসাৎকারী
তিন বৃদ্ধর বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করলেন সোনালী ব্যাংকের অফিসার
বিপ্লব বিশ্বাস
প্রকাশ: Saturday, 13 July, 2024, 12:16 PM
সর্বশেষ আপডেট: Saturday, 13 July, 2024, 12:19 PM

তিন বৃদ্ধর বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করলেন সোনালী ব্যাংকের অফিসার

তিন বৃদ্ধর বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাৎ করলেন সোনালী ব্যাংকের অফিসার

এবার সোনালী ব্যাংক (ঢাকা সাউথের) আটিবাজার শাখায় বয়স্ক ভাতার টাকা চেক জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে আত্মসাৎ করলেন ওই ব্যাংকের অফিসার মো: রায়হান নবী (জি৪৯৬৯৬)। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক আফতাবগঞ্জ ও দিনাজপুর শাখায় হিসাব সমূহের বাইরে হিসাব বিবরণীতে বেতন ভাতার বাইরে অর্ধ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। আর এর পেছনে প্রিন্সিপাল অফিস, ঢাকা সাউথ, এর ডিজিএমের যোগসাজগ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শোনা গেছে, তিনি রাহয়ান নবীর কাছ থেকে মোটাঅংকের টাকার বিনিময় ঘটনাটা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল সোনালী ব্যাংক শাখায় সিবিএসে আটিবাজার শাখা থেকে হাজেরা খাতুন (৩১০৮) এসবি-২৪৭৩৫০৪ নং চেকটি ডেবিট করা হলওে ক্যাশে ১৮০১০০১০০৮০৫১ মো: রাহান নবী একাউন্টে ১৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। ঠিক একই কায়দায় গত ৫ মে জহুরা খাতুন নামের (৫৩৬) একাউন্ট এসবি ৪৭১৬৬১৩ নং চেক ডেবিট করা হয় কিন্তু চেক জালিয়াতির মাধ্যমে একই কায়দায় এখানেও ১৯ হাজার ৩শ টাকা আত্মসাৎ করেন রায়হান নবী। একই কায়দায় গত ৫ মে হালিম মিয়া (৫১৭) যার একাউন্ট নাম্বার এসবি ৫৩৭২৩২২ নং চেকটি ডেবিট করে এই রায়হান নবী ১৯ হাজার টাকা চেক জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। গত ২৪ এপ্রিল ডেবিট একাউন্ট (০১২৫৫৩৪০৮৮৮৬৯) হাজেরা খাতুন, চেক এন্ট্রি করেন সোনালী ব্যাংক আটিবাজার শাখার অফিসার মো: রায়হান নবী। অথোরাইজ করেন আফরিন আরা ( জি৫৪১৩৫) ভাউচার চেকিং কর্মকর্তা ছিলেন তানজিনা অক্তার ( জি ৫২৫৭৬)। আর ম্যানেজার ছিলেন মো: কামরুজ্জামান। একই ভাবে আরো দুইটি চেক একি কায়দায় চেক জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে অত্মসাৎ করেন এই নবী।
গত ৩০ মে রায়হান নবীর ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল অফিস, ঢাকা সাউথ, ঢাকা বরাবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রিপোর্ট জমা দেন। কিন্তু আজ অব্দি এ ব্যাপারে প্রিন্সিপাল অফিস, ঢাকা সাউথ, এর ডিজিএম নজরুল ইসলাম কোন ব্যবস্থা নেইনি। অভিযোগ রয়েছে, রায়হানকে বাঁচাতে ডিজিএম নজরুল ইসলাম উঠে পরে লেগেছে। যে কারণে তদন্ত রিপোর্ট বা রহয়ানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষকেও তিনি এ বিষয়ে অবহিত করেন নি। ব্যাংক থেকে গঠিত তদন্তকারীদল তাদের তদন্ত রিপোর্টটে উল্লেখ করেছেন, এপ্রিল -মে মাসের ভাউচার পর্যবেক্ষণে উল্লেখিত চেক জালিয়াতির ঘটনার বাইরে অন্যকোন অস্বাভিবক লেনদেন পরিদর্শণ দলের নজরে পরে। চেক জালিয়াতির বিষয়ে, জনাব রায়হান নবীঅফিসার উদ্দেশ্য প্ররোদিতভাবে অর্থ আত্মসাতের জন্য এরুপ ঘটনা ঘটিয়েছেন মর্মে আমরা নমনে করি। অতএব জনাব মো: রাহহান অফিসারকে জরুরী ভাবে আটিবাজার শাখা ঢাকা হতে প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করা হল।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক আটিবাজার শাখার ম্যানেজার নুতন সময়কে জানান, বিষয়টি জানার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। তদন্তে তার দোষ প্রমানিত হওয়ায় ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আপনি ম্যানেজার থাকা অবস্থায় এতোবড় চেক জালিয়াতির ঘটনায় অপনি ও তো দায় এড়াতে পারেন না! এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পরার পরই তার বিরুদ্ধে ডিজিএমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অফিসিয়াল ভাবে কোন ব্যবস্থা না নিলেও এরপর থেকে মো: রায়হান নবী এখোন আর অফিসে আসেন না।
এ ব্যাপারে মোঃ রায়হান নবীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা শুনে এর প্রতিউত্তর না দিয়ে টেলিটক কোম্পানির ব্যবহারিত মোবাইল সিমটি বন্ধ করে দেন। 
(আগামীকাল আসছে বিস্তারিত)

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status