সম্প্রতি এক রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা দফতর পরীক্ষা করে দেখেছে বিখ্যাত স্ট্রিট ফুড পানিপুরি। তাতেই একাধিক গুরুতর রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে।
যাহা পানিপুরি তাহাই ফুচকা, এমনটা বললে খাদ্যরসিকরা খেপে বোম হবেন। তবে এই দুইজনকে পরস্পরের ভাই বলা যায়। শুধু চেহারার দিক থেকে নয়, যেভাবে তৈরি ও পরিবেশন করা হয়, সেই দিক থেকেও। তবে এবার এই পানিপুরিই খাদ্যসুরক্ষা দফতরের আতসকাচের তলায় এল। সম্প্রতি ২৬০টি ফুচকার নমুনা পরীক্ষা করেছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। তার মধ্যে ২২ শতাংশই নিয়ম মেনে তৈরি করা খাবার নয়। অত্যাধিক কৃত্রিম রং ও ক্যানসারজনিত (Carcinogenic Element) রাসায়নিক মেশানোর কারণে পানিপুরি মানুষের স্বাস্থ্যের বিপদও ঘটাতে পারে। যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এমনটাই জানিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
নিষিদ্ধ হয়েছিল গোবি মাঞ্চুরিয়ান ঘটনাটি কর্ণাটকের। সেখানে খাদ্য সুরক্ষা আইনে গতবার গোবি মাঞ্চুরিয়ান ব্যান বা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই বিশেষ খাবারটি টকটকে লাল রঙের হয়। এই লাল রং আনার জন্য রোডেমাইন বি নামের এক বিশেষ রাসায়নিক মেশানো হয়। এটিও ক্যানসারের কারণ হতে পারে এমন রাসায়নিক। অর্থাৎ কারসিনোজেনিক। এবারের ঘটনায় একটি নয়, একাধিক রাসায়নিকের হদিস পেয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
কী কী রাসায়নিক রয়েছে পানিপুরিতে? পানিপুরির মধ্যে একাধিক রাসায়নিকের খোঁজ পেয়েছেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের গবেষকরা। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে ব্রিলিয়ান্ট ব্লু, টারট্রাজান ও সানসেট ইয়েলোর মতো রং মেশানো হয়। এই রংগুলি পেটের যে শুধু ক্ষতি করে তা নয়। পাশাপাশি ক্যানসার ঘটাতে পারে। অর্থাৎ কারসিনোজেনিক এলিমেন্ট রয়েছে এর মধ্যে।
কী বলছেন খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার ? সম্প্রতি সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার শ্রীনিবাস কে বলেন, সারা রাজ্য থেকেই অভিযোগ জমা পড়েছে খাদ্য সুরক্ষা দফতরে। পানিপুরির গুণগত মান ও হাইজিন নিয়ে তাদের দফতরে অভিযোগ জমা পড়ার পরেই ব্যবস্থা নিতে শুরু করে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় খুঁটিয়ে। তার পরই দেখা গিয়েছে পরস্থিতি এমন।
কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে খাদ্য সুরক্ষা কমিশনার। তাঁর কথায়, আরও কিছু নমুনা পরীক্ষা করে দেখবে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। তার পর ফলাফল দেখে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে কর্ণাটকের ওই নির্দিষ্ট দফতর।
প্রসঙ্গত, বাংলাতেও ফুচকা বিক্রির ক্ষেত্রে বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙা হয়। অপরিষ্কার হাতে ফুচকা পরিবেশন থেকে অস্বাস্থ্যকর জল ও পরিবেশের দিনের পর দিন ফুচকার দোকানের ব্যবসার দৃশ্য অনেকেরই পরিচিত। বাংলার খাদ্যসুরক্ষা দফতরের আতসকাঁচে এই সমস্যাটি কবে আসবে সেটাই দেখার।