|
গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান হত্যা : মূল অভিযুক্ত ইমরান গ্রেফতার
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
![]() গাজীপুরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে সিদ্দিকুর রহমান হত্যা : মূল অভিযুক্ত ইমরান গ্রেফতার গ্রেফতারকৃত ইমরান গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার কড্ডা কালাকুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি একজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলে র্যাব জানিয়েছে এক সংবাদ সম্মেলনে। উত্তরায় র্যাব-১ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে টঙ্গীর বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ফ্লাইওভারের ওপর সিদ্দিকুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ইমরান। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সিঁড়ির কাছেই সিদ্দিকুর রহমান'র মৃত্যু হয়। নিহত সিদ্দিকুর রহমান বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোর কিপার ছিলেন এবং টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রোডে বসবাস করতেন। সেদিন সকালে তিনি কর্মস্থল কেরানীগঞ্জের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ইমরান ভিকটিমের পথরোধ করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে সে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সিদ্দিকুর রহমানের বাম হাতে তিনটি আঘাত করে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে নেয়। পালানোর সময় তার জুতায় ফিনকী দিয়ে লেগে যাওয়া রক্ত এবং ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া ছুরি–জুতা পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঘটনার পর ইমরান কোনাবাড়ী এলাকায় পালিয়ে গেলেও আবার মাজার বস্তিতে ফিরে গিয়ে আত্মগোপন করেন। ছিনতাইকৃত মোবাইলটি ১হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় সে। র্যাব–১ এর সিপিসি–২, উত্তরার সদস্যরা ঘটনাটি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং ফেলে যাওয়া আলামত পর্যালোচনা করে ঘাতক ইমরানকে শনাক্ত করা হয়। এরপর রোববার (৭ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে মাজার বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে অপর একটি দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সংশ্লিষ্টতায় ৬ ডিসেম্বর রাতেই টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলা মূলে গ্রেফতারকৃত আসামীকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
