|
ডাকসু নির্বাচন নির্ধারিত দিনেই, স্থগিতই থাকল হাই কোর্টের আদেশ
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() ডাকসু নির্বাচন নির্ধারিত দিনেই, স্থগিতই থাকল হাই কোর্টের আদেশ ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের যে আদেশ হাই কোর্ট দিয়েছিল, তা আটকে দিয়েছিল আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সেই আবেদন শুনে চেম্বার আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে। এর ফলে ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে ডাকসু নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা থাকল না বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদের ডাকসু প্রার্থিতার বৈধতা প্রশ্নে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার এ নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত করে দেয় হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ফরহাদের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালকে। ওই আদেশের পর শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালে তাৎক্ষণিকভাবে হাতে লেখা আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চেম্বার আদালত সিএমপি ফাইল বা সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন আবেদন করার নির্দেশনা দিয়ে ওই আবেদনের শুনানি পর্যন্ত হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিএমপি দাখিল করলে তা শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের পর সোমবার শিশির মনির বলেছিলেন, “একজন ক্যান্ডিডেট তিনি নিজেও ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি, তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন একজন প্রার্থীর ব্যাপারে। ফলে ডাকসু নির্বাচন স্থগিত থাকাটা কেউই ভালোভাবে নেবে বলে আমি মনে করি না। “এই কনসার্ন বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় চেম্বার জজ সিএমপি ফাইল এবং শুনানি পর্যন্ত এই (হাই কোর্টের) আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করে দিয়েছেন।” ৫ অগাস্টের আগে এস এম ফরহাদ ‘ছাত্রলীগের কমিটিতে’ ছিলেন, এর পরও তিনি কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী হলেন– এমন প্রশ্ন তুলে তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রোববার একটি রিট মামলা হয়। তিন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম এ মামলা করেন। রিট আবেদনকারী বিএম ফাহমিদা আলম সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, “ফরহাদের অবস্থান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং ফরহাদ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তার কোনো পদত্যাগের প্রমাণ আমরা পাইনি।” ফরহাদের কর্মকাণ্ড ডাকসুর গঠনতন্ত্রের সঙ্গে ‘সাংঘর্ষিক’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “টিএসসিতে তারা রাজাকারদের ছবি টানিয়েছিল। তাদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে প্রচেষ্টা ছিল, সেটি ডাকসুর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশের সঙ্গে বিরোধিতা করে।” এ রিট মামলা ডাকসু নির্বাচন ‘বানচাল করার জন্য নয়’ দাবি করে তিনি বলেন, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন ‘বট অ্যাকাউন্ট’ থেকে তিনি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এর আগে সোমবার মামলা হওয়ার পর ফরহাদ এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, “আমার প্রার্থিতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী বামজোটের নেত্রীকে তার উদ্যোগের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। “বিভিন্ন দল কর্তৃক দীর্ঘ সময় ধরে ছবি এডিট করে, ভিডিও বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার চেয়ে আপনার আইনি উদ্যোগ তুলনামূলক ভালো অ্যাপ্রোচ। বাধা, ষড়যন্ত্র কিংবা অপকৌশল মাড়িয়েই আমাদের নিয়মিত পথচলা; এই যাত্রায় আমরা থামব না, ইনশাআল্লাহ।” ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ভিপি পদে লড়ছেন সাদিক কায়েম। আর 'অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪' নামে প্যানেলে ভিপি পদপ্রার্থী হয়েছেন মো. নাইম হাসান হৃদয়। জিএস পদে লড়ছেন এনামুল হাসান অনয়। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল (বাংলাদেশ জাসদের ছাত্র সংগঠন) এর সমন্বয়ে এ প্যানেল গঠন করা হয়েছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
