সোনারগাঁও জাদুঘরের ১৫ দিনব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী ও বৈশাখী মেলার সমাপ্তি
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() সোনারগাঁও জাদুঘরের ১৫ দিনব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী ও বৈশাখী মেলার সমাপ্তি সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মফিদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ এবং প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী, অংশগ্রহণকারী কারুশিল্পীদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলা শেষ হয়। এর আগে (১৪ এপ্রিল) ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ইলিয়া সুমনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সম্মানিত সদস্য চন্দ্র শেখর সাহা, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান। ১৫ দিনব্যাপী এই বৈশাখী মেলা ও জাদুঘরের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের বৈচিত্র্যময় কারুপণ্যের সমাহার রাখা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কারুশিল্পীদের এখানে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। উৎসবে জামদানি, শতরঞ্জি, নকশি কাঁথা, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, হাতপাখা, কাঠখোদাইশিল্প, পটচিত্র শিল্প, শোলাশিল্প, বাঁশ-বেতশিল্প এবং ক্ষুদ্র-নৃ গাষ্ঠীর কারুশিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মের উপস্থাপন এবং বিপণনের সুব্যবস্থা ছিল।এছাড়াও উৎসব চলাকালীন প্রতিদিনই ছিল বাউল গান ও লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়া মেলায় পুতুল নাচ, হালখাতা, বায়স্কোপ, সাপের খেলা, নাগরদোলাসহ গ্রামীণ বিনোদনের নানা আয়োজন ছিল। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা তিন গুটি, সাত গুটি বাঘবন্দ, কানামাছি, গোল্লাছুট, বউচি ও কপাল টোক্কা। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার ও পিঠাপুলির আয়োজনও ছিল এই উৎসবে।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |