জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন কেন?
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() জাতীয় নির্বাচনের আগে গণপরিষদ নির্বাচন কেন? তিনি বলেন, একটি অনির্বাচিত সরকার বা একটি নির্বাচিত সংসদ কখনোই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংস্কারকে গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখে না, অথবা সেটিকে বৈধতা দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। বরং আগামীতে যে সংসদ আসবে, সেই সংসদেরই অধিকার থাকবে সংশোধিত সংবিধান গ্রহণ করার। আমরা বলি, ঐতিহাসিকভাবে ১৯৭০ সালে একটি ভুল হয়েছে। আপনি জানেন, ১৯৭২ সালে যে সংবিধান প্রণীত হয়, সেটিও বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে করা হয়েছিল। একটি তথ্য হিসেবে রাখা যেতে পারে—তখন গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০৩ জন। এর মধ্যে ৩০০ জন ছিলেন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং বাকিরা সরাসরি নির্বাচিত সদস্য। এই ৪০৩ জনের মধ্যে ৪০০ জনই আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন ন্যাপের সদস্য এবং দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই একই কারণে, আমরা বলছি যে ১৯৭২ সালে যে সংবিধান গঠিত হয়, সেটি ছিল একটি "আওয়ামী সংবিধান" বা "মুজিববাদী সংবিধান"। আমরা ২০২৪ সালে এসে আর ভুল করতে চাই না। সেই প্রেক্ষাপটে, আমরা চাই এখানে একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে বিদ্যমান সংস্কার প্রস্তাবগুলোকে গ্রহণ করা হবে, নতুন সংবিধান পাস করা হবে, এবং সেই সংবিধানের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বর্তমান সরকার বা ভবিষ্যতের সরকার কখনোই বৈধতার সংকটে পড়বে না। এ কারণেই, গণপরিষদ নির্বাচন, সংবিধান সংস্কার এবং এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা একটি বড় অঙ্গীকার হবে। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে প্রতিনিধিরা আসবেন, তারাই সংবিধান পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবেন। এটি একমাত্র পথ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে, যেখানে অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণপরিষদ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |