‘৫৩ বছর এই জাতির মাথার ওপরে কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া হয়েছে’
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
যে জাতি বিভক্ত হয় তার মাথার উপরে সকলেই কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের এই জাতির মাথার উপরে ৫৩ বছর কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়া হয়েছে। আমাদের তরুণ সমাজ, জনগণ জেগে উঠেছে, আমরা আর চাইনা কেউ আমাদের মাথার ওপরে কাঁঠাল ভেঙে খাক। আমাদের জোরালো ঐক্য থাকুক, তাহলে ঘরে ও বাইরে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে, বলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর, ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সুধী সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, যদি ইসলামিক রাষ্ট্র কায়েম হয় এই জাতি বদলাতে ৭ থেকে ১০ বছরের বেশি সময় লাগবেনা। ৫৩ বছরের দরকার হবেনা। ৭ থেকে ১০ বছরই যথেষ্ট। জাতীর উন্নয়নে দক্ষ ও যোগ্য সংসদ সদস্যের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত সংসদগুলোতে আমরা দেখেছি কিছূ মানুষ, তাদের ছেলে মেয়েরা একপাতা লিখে দিয়ে বলেছে আব্বা বা আম্মা তুমি তো বলতে পারবে না কিছু, ওইটা পড়ে শুনাইয়ো। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে পড়তেছে কিন্তু একপাতা পড়তে তার ২০ মিনিট লাগতেছে এবং ৪০টা ভুল করতেছে। অথচ একজন সংসদ সদস্যের দায়িত্ব আইন প্রণয়ন করা। যিনি লিখিত একটা পাতা পড়তে পারেন না তিনি আমাদের আইন প্রণয়ন করে দেবেন? এভাবে আমরা নাচে গানে ভরপুর সংসদ দেখেছি, খিস্তি খেউড়ের সংসদ দেখেছি। সেখানে গানের আসর দেখেছি, নাটক ও হাসি-ঠাট্টা দেখেছি। “সংসদ মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য, সভ্য দেশকে সভ্যতার উচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য, একটা মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে দাড়ানোর জন্য, আইন শাসন কায়েমের জন্য, সুশাসন উপহারের জন্য। কিন্তু সেগুলো নিয়ে আমাদের সংসদে কথা হয় খুব কম, হয়না বললেই চলে।“ জামায়েতে ইসলামী শীর্ষ এই নেতা বলেন, দায়িত্বশীল সরকারের কাজ হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া প্রত্যেকটি নেয়ামতকে সংরক্ষণ করা। যারা সংরক্ষণ করবে তারাইতো ক্ষতি করে, তাইলে সংরক্ষণটা হবে কিভাবে? দেশকে ভালোকিছু দেওয়ার জন্য ভালো আইন দরকার আর ভালো আইন বাস্তবায়নের জন্য ভালো মানুষ দরকার। কে কোন ধর্মের এটা দেখা যাবে না, সে ইনসান কিনা এটাই শুধু দেখতে হবে। এমনকি অবুঝ প্রাণী হলেও তার প্রতিও অবিচার করা যাবে না। মানবাধিকারের দিক থেকে কাউকে বৈষম্য করা যাবে না। অন্যান্য জাতি-ধর্মের যারা আছেন, তারা আমাদের কাছে সন্মানের শ্রদ্ধার বলে জানান, তিনি। নাটোর জেলা আমীর অধ্যাপক মীর নূরুল ইসলাম সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |