ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর প্রথমবার মুখ খুলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর সরকার পতনের পেছনে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের পেছনে ‘বিদেশি শক্তির হাত’ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মাথায় এমন কথা বললেন শেখ হাসিনা।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে একটি বার্তা দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি, যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। ছাত্রদের লাশ নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তা করতে দিইনি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি আমি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব আত্মসমর্পণ করতাম এবং আমেরিকাকে বঙ্গোপসাগরের ওপর কর্তৃত্ব করতে দিতাম। আমি আমার দেশের জনগণের কাছে অনুরোধ করছি, 'দয়া করে মৌলবাদীদের দ্বারা প্রতারিত হবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি যদি দেশে থাকতাম, তাহলে আরো প্রাণহানি হতো। আরো সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত। আমি প্রস্তান করার জন্য অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কোটা আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের আবারো বলতে চাই, আমি কোনোভাবেই তোমাদের রাজাকার বলিনি। বরং তোমাদের উত্তেজিত করতে আমার কথাগুলো বিকৃত করা হয়েছিল। সেদিনের পুরো ভিডিওটি আবারো দেখার জন্য অনুরোধ করছি। ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নিয়েছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে আপনাদের ব্যবহার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে ও তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে আমার হৃদয় কেঁদে উঠছ। মহান আল্লাহর রহমতে আমি শিগগিরই ফিরে আসব। আওয়ামী লীগ বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে, আবারও দাঁড়াবে।’