মহেশপুরে ড্রাগন উৎপাদনে আশার আলো দেখছে চাষীরা, টার্গেট দুইশ কোটি টাকার বাজার
মোঃ নাসিম রেজা, মহেশপুর
|
![]() মহেশপুরে ড্রাগন উৎপাদনে আশার আলো দেখছে চাষীরা, টার্গেট দুইশ কোটি টাকার বাজার ড্রাগন চাষিদের ভাষ্য মতে- মহেশপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠে মাঠে বাড়ছে ড্রাগনের চাষ। লাভ বেশি হওয়ায় এলাকার কৃষকরা ড্রাগন চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। শখের বসে ২০১৬ সালের দিকে মহেশপুরের আজমপুর এলাকায় কয়েক জন ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। তাদের দেখে আজ মহেশপুরে প্রায় সবাই চাষ করছেন ড্রাগন ফলের। ড্রাগন চাষে লাভ বেশি হওয়ায় এলাকার চাষিরা অন্য চাষ বাদ দিয়ে এখন ড্রাগন চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ড্রাগন চাষি আক্তার বিশ্বাস জানান, ২০১৭ সাল থেকে তিনি ড্রাগন চাষ শুরু করেন। প্রথমে তিনি এক বিঘা জমিতে ড্রাগন বাগান করেন। পরে তিনি সাত বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করেন। বাগানের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ফলের উৎপাদনও বাড়তে থাকে। হামিদপুরের কৃষক রাজিব আহাম্মেদ জানান, প্রথমে এক বিঘা জমিতে ড্রাগন বাগান করতে ব্যয় হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। তবে আবহাওয়া ভালো থাকলে ও ফল যদি ভালো হয় প্রথম বছরেই ব্যয়ের টাকা ওঠানো সম্ভব। এখন মহেশপুরের গৌরীনাথপুর, আজমপুর, বিদ্যাধরপুর, মালাধরপুর, বলিভদ্রপুর, রামচন্দ্রপুর, কাশিপুর, নওদাগ্রাম, বেলেমাঠ, বাথানগাছি, শংকরহুদা, কালুহুদা, জুকা গ্রামজুড়ে শুধু ড্রাগন ফলের বাগান। বেলেমাঠ ড্রাগন বাজারের সভাপতি জাকির হোসেন জানান, আমাদের বাজারটা নতুন। সে হিসেবে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এ ড্রাগন ফলের বাজার। শুধু মহেশপুর না বিভিন্ন এলাকার ড্রাগন চাষিরা তাদের ড্রাগন ফল এ বাজারে নিয়ে আসে বিক্রির জন্য। বেলেমাঠের ড্রাগন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, এ বাজারে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লাখ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেন ড্রাগন চাষিরা। এ বাজার থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা ড্রাগন ব্যবসায়ীরা ড্রাগন ক্রয় করে নিয়ে যান। আমাদের এ বাজারে ড্রাগন চাষিদের কোনো ভোগান্তি পেতে হয় না। |
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |