খুলেছে রহস্যের জট, স্বাবলম্বী হতে স্বেচ্ছায় ঘর ছাড়েন তারা
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Tuesday, 9 July, 2024, 6:20 PM
খুলেছে রহস্যের জট, স্বাবলম্বী হতে স্বেচ্ছায় ঘর ছাড়েন তারা
বগুড়া শহরে রহস্যজনকভাবে একই পরিবারের সাত সদস্য নিখোঁজে হওয়ার সব জট খুলেছে। ফাতেমা ও তার মেয়ে রুমি তাদের স্বামীদের নির্যাতনের কারণে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাবলম্বী হতে কাজের সন্ধানে কাউকে না জানিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাঙামাটি জেলায় চলে গিয়েছিলেন বলে জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (৮ জুলাই) রাঙামাটির সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার সাতজন হলেন, লালমনিরহাটের খোচাবাড়ি এলাকার ফাতেমা বেগম, তার ছেলে বিক্রম আলী, ছোট মেয়ে রুনা খাতুন, বড় মেয়ে রুমি বেগম, তার নাতনী বৃষ্টি খাতুন এবং যমজ নাতি হাসান ও হোসেন। তবে তারা গত ১০ বছর ধরে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার পিবিআই কার্যালয়ে পরিদর্শক জাহিদ হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানান।
এর আগে, গত ৩ জুলাই কাউকে কিছু না জানিয়ে ফাতেমা বেগম তার ছেলে, মেয়ে, নাতী ও নাতনীসহ মোট সাতজন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। তাদের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে ফাতেমার স্বামী আব্দুর রহমান বগুড়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। পরে পিবিআই পুলিশ জিডির সূত্র ধরে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদ জানান, ফাতেমা ও রুমি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, তাদের স্বামী বিভিন্ন সময়ে তাদের আয় রোজগার নিয়ে কটু কথা শোনাতো। তাদের স্বাবলম্বী হতেও দিত না। এ ছাড়াও তাদের ওপর মাঝেমধ্যেই মানসিক নির্যাতন চালাত। এ কারণে তারা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সবার অগোচরে নিজেরা আয় রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে রাঙামাটি জেলার বুড়িরহাট এলাকায় ফাতেমার নানার বাড়িতে পালিয়ে যান এবং সেখানে কাজের সন্ধান করতে থাকেন।
তিনি আরও জানান, ফাতেমার পরিবার দরিদ্র। আর ফাতেমা এর আগে অনেকবার রাঙামাটিতে গিয়েছিলেন। এজন্য সেখানে তার পথঘাট পরিচিত ছিল। এরমধ্যে তিনি সেখানে অনেকের কাজের ব্যবস্থাও করেছিলেন। রাঙামাটি যাওয়ার পর লালমনিরহাটেও একবার গিয়েছিলেন ফাতেমা। কিন্তু তাদের স্বামীর নির্যাতনের কারণে তারা কোথায় আছে সেটি গোপন রাখেন। আর তাদের মূলত পরিকল্পনাই ছিল রাঙামাটি গিয়ে কাজকর্ম করে সেখানেই স্থানী বাসিন্দা হয়ে বসবাস করার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।