কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে, চারাঞ্চল ও দীপচরসহ বিভিন্ন এলাকা। এদিকে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দুধকুমার নদের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার দুধকুমার নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১০০ মিটারের বেশি জায়গাজুড়ে ভেঙ্গে গেছে। এতে করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব গ্রামের ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। বন্যার পানি গ্রাম ছেড়ে প্রবেশ করছে নাগেশ্বরী পৌরসভার বেশ কয়েকিট এলাকাতেও। বাঁধ ভাঙ্গায় পানির শ্রোতে ভেঙ্গে যাচ্ছে বিভিন্ন রাস্তাঘাট। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নসহ পাশের অনেক এলাকা। শুধু বামনডাঙ্গা ইউনিয়নই নয় বন্যার পানিতে রায়গঞ্জ, কালিগঞ্জ, বল্লভেরখাস, ভিতরবন্দ, নুনখাওয়া, কচাকাটা, নারায়ণপুর ইউনিয়ন ও নাগেশ্বরী পৌরসভাসহ প্রায় ২০ হাজার পরিবারের ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার মাইদুল ইসলাম জানান, ভাড়ি বৃষ্টি আর নদীর পানি বাড়ায় পানির বেগ সইতে না পেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ফলে আমাদের এলাকার সবার বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। অনেকের ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। এতে আমরা দুর্ভোগে পড়েছি। ওই এলাকার জয়নাল আবেদিন জানান, সকাল থেকে পানি হুহু করে পানি বাড়ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বাঁধের বাকি অংশগুলো ভেঙ্গে গিয়ে সবার বাড়ি তলিয়ে যাবে। তাই অতি দ্রæত বাঁধ ভাঙ্গন ঠেকাতে না পারলে দুর্ভোগে পড়বেন এখানকার হাজার হাজার মানুষ। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, ভাড়ি বৃষ্টি আর উজানের পানির কারণে শনিবার সকালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ইতোমধ্যে ৮-১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে করে বাকি অংশ ভেঙ্গে গেলে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নসহ অন্যান ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন তারা ভাঙ্গন ঠেকাতে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, এটা পুরাতন রাস্তা। আমাদের অন্যদিকে কাজ চলমান থাকলেও এখনও সেদিকে (মিয়াপাড়া এলাকায়) রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। তারপরও রাস্তার ভাঙ্গন ঠেকাতে অতি দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।