নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষজন
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: Saturday, 6 July, 2024, 12:43 PM
নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষজন
কুড়িগ্রামে বিভিন্ন নদ- নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, আজ ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৯ সেঃ মিঃ, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেঃ মিঃ, হাতীয়া পয়েন্টে ৬৫ সেঃ মিঃ এবং ধরলা নদীর সেতু পয়েন্ট বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নদীতীরবর্তী প্রায় সকল নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী সকল মানুষজন। ইতোমধ্যে জেলার প্রায় শতাধিক স্কুলের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘরে ঘরে প্রবেশ করেছে পানি। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা, ঝুনকার চর, নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া ইউনিয়ন ও নারায়নপুর ইউনিয়নের সবকটি চর, উলিপুরের হাতীয়া, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ তিনটি ইউনিয়ন এবং চিলমারীর নয়ারহাট, অষ্টমীরচরের সবকটি এলাকা এখন পানির নীচে। কাঁচা পাকা প্রায় সকল রাস্তাই ডুবে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বসত বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় রান্নার জন্য ব্যবহৃত চুলা ডুবে গেছে। কোন কোন পরিবারের আসবাবপত্র ও গবাদি গরু ছাগল হাঁস মুরগি পানিতে ভেসে গেছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক পরিসংখ্যানে জানা গেছে এ পর্যন্ত জেলার ০৯ উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পানিবন্দি ওই সমস্ত মানুষজন খাদ্য সংকটে পড়েছে। জেলা ত্রান ও পূর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, বানভাসি মানুষজনের জন্য জেলার ৯ উপজেলায় এপর্যন্ত ১৭৩ মেঃ টন চাল ও নগদ ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে এবং আরও ৬ মেঃ টন চাল ও ৩০ লক্ষ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে যা সময় মতো প্রদান করা হবে। অপরদিকে কিছু মানবিক মানুষ, কিছু ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান বরাবরের মতোই এবাররও বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। তবে বেশ কয়েজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এভাবে সমন্বয়হীন ভাবে ত্রান সহায়তা করায় একই মানুষ বারবার ত্রান সহায়তা পেতে পারে বলে ধারণা করেছে। এজন্য তারা জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সকল মানবিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানকে অসহায় বানভাসি মানুষজনের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।