বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ তারা বলছেন, এই ঋণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোতে নতুন মাত্রায় ঋণের বোঝা যোগ করবে এবং রোহিঙ্গাদের উন্নয়নের জন্য গ্রহণকৃত এই অর্থ বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ প্রদানের ঘোষণার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে স্থানীয় সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেনের (সিএসও) উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা অবকাঠামো উন্নয়ন, পয়োনিষ্কাশন, সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনসহ মোট ১১টি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে জমা দিয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে ৭০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে ঋণ হিসেবে ৫৪ কোটি ডলার এবং অনুদান হিসেবে ১৬ কোটি ডলার পাওয়া যাবে। মেয়াদ শেষে ঋণের অর্থ ২ শতাংশ সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। এদিকে, প্রতিবছর বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে, যা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যদিও রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবিক বিভিন্ন সংস্থা খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ নানা সেবা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ মূলত সম্পূর্ণ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যথেষ্ট তৎপর নয় বলে বিভিন্নভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় বিশ্বব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ৫৬ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার ঘটনা একটি নেতিবাচক ও দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ, পশ্চিমা দাতাগোষ্ঠী ও বিভিন্ন দেশ-সংস্থা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলের মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একীভূত করার কথা বলে বিবৃতি দিয়েছে। তারা মূলত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের চেয়ে জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্থায়ী করার চেষ্টা করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও জীবনমান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূণ প্রকল্পে বিনিয়োগ পরিকল্পনা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুরভিসন্ধিমূলক।
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |