নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভারতের কোলকাতা ও শিলিগুড়ি সোনালী ব্যাংকে দুই কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন কতৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, বিদেশি কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদায়নের এক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি রয়েছে। নিয়োগপত্রে নির্ধারিত বয়সের কথা উল্লেখ থাকলেও তা না মেনে, সোনালী ব্যাংকের কলকাতা ও শিলিগুড়ি শাখায় নিয়োগ দিয়েছেন, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ তানভীর আলম ও মো: ইমরুল কায়েসকে।
জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের কলকাতা ও শিলিগুড়ি শাখায় ২০২৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক পিএলসি, প্রধান কার্যালয়ের নিয়োগের সার্কুলার দেয়া হয়। যার নম্বর এসবিপিএলসি/এইচও/এইচআরএমডি/সেকশন-১/ওএসআর-০৭/৭৩৩০। এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ইন্ডিয়া অপারেশন, ভারত এর কলকাতা ও শিলিগুড়ি শাখায় ৩ জন প্রিন্সিপাল অফিসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ ভিত্তিক বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৭ নির্ধারণ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রায় ৪০ জন ফরেন ট্রেডে নিয়োজিত কর্মকর্তারা আবেদন করেন।
১১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে সোনালী ব্যাংক পিএলসি,প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম বেগম বীথি আক্তার স্বাক্ষরিত এইচআরডিডি/৭৮১/২০২৪/১৩৬ নং পত্রের মাধমে শর্ট লিস্ট প্রকাশ করা হয়, যার মধ্যে ক্রমিক নং-৭ এ বর্ণিত প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ তানবীর আলম এর বয়স ৪১ বছর ৪ মাস ৩০ দিন। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ১৯৮১ সালের ১৭ নভেম্বর ও ক্রমিক নং- ৯ নং এ বর্ণিত কর্মকর্তা মো: ইমরুল কায়েস এর বয়স ৩৭ বছর ৩ মাস ১৫ দিন। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ ১৯৮৬ সালের ০১ লা জানুয়ারী। ব্যাংকের ২০১২ ব্যাচের এক প্রিন্সিপাল অফিসার বলেন " সোনালী ব্যাংক পিএলসি শিলিগিুড়ি ও কলকতা শাখায় যে ২ জন কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও স্বজনপ্রীতি ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পেয়েছেন। এরপর ঘটনা আগেও ঘটেছে, পরিক্ষাও ভাইভা শুধুমাত্র আইওয়াশ। ইমরুল কায়েসের পিতা সোনালী ব্যাংকের সাবেক জিএম মো: মোশারফ হোসেন যার মাধ্যমে আবেদনের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগে বড় অংকের ঘুষ লেনদেন হয়েছে, তাই কোন নিয়ম নীতি মানা হয়নি। বয়সসীমা যদি না থাকত তাহলে আরও অনেক যোগ্য প্রার্থী যাদের ফরেন ট্রেডে অভিজ্ঞ ও সিডিসিএস সম্পন্ন্ এমন প্রিন্সিপাল অফিসার আবেদন করতে পারত।"
এ বিষয়ে মোহাম্মদ তানভীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বয়সের বিষয়ে তাঁর কোন বক্তব্য নেই, এটা ম্যানেজমেন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে, এ বিষয়ে পরিচালনা পরিষদ বলতে পারবে।
ইমরুল কায়েস মুঠোফোনে বলেন, বয়সের বিষয়ে ইনফরমেশনটি সঠিক নয়, তাছাড়া নিয়োগের বিষয়টি এইচআর ডিপার্টমেন্ট জানে। এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। অযোগ্য ব্যক্তির আবেদন ও নিয়োগ সর্ম্পকে সোনালী ব্যাংকের হিউমান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট ডিভিশনের ডিজিএম মো: মজিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোনপ্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।