যশোরে পুত্রের লাঠির আঘাতে সাহেব আলী (৭৫) নামে এক পিতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ছেলের লাঠির আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। রোবাবার (২ জুন) ভোরে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি শহরের শংকরপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম গেট এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, মৃত সাহেব আলীর দুই ছেলে শহীদ ও শাহীন কাজকর্ম না করে ঘুরে বেড়ায় এবং টাকা-পয়সা নিয়ে তারা তার বাবার সাথে গোলযোগ করতেন।
বিভিন্ন সময়ে তারা বাবাকে মারধর করতেন। সর্বশেষ ১১ মে সকালে বড় ছেলে শহিদ নিজ প্রয়োজনে তার বাবা মৃত সাহেব আলীর কাছে টাকা দাবি করেন। বাবা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে বাবাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১৫ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতালের আরএমও আব্দুস সামাদ জানান, সাহেব আলী গত ১১ মে মাথায় আঘাত জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে হাসপাতালের পুরুষ পেইন ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে তিনি চিকিৎসা নেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতে আইসিইউতে সিফ্ট করা হয়। এরপর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তার মাথায় ১৪ থেকে ১৫টি সেলাইয়ের দাগ রয়েছে।