ঢাবিতে ১৩ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
নতুন সময় ডেস্ক
|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অশ্লীল আচরণ ও মারধরের বিচার চেয়ে ১৩ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ছাত্রী। অভিযুক্তদের মধ্যে ফার্মেসি বিভাগের শ্রাবন ইসলাম শুভ, ফলিত গণিত বিভাগের আসিফ ও মমিন, ভূতত্ত্ব বিভাগের সজীব অন্যতম। এরা প্রত্যেকেই শহিদুল্লাহ হলের ২০২২-২০২৩ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়া এদের নেতৃত্বদানকারী গণিত বিভাগের খাদেমুল ইসলাম ও পুষ্টি খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগের সিয়াম একই হলের ২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তদের মধ্যে বাকি সাতজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী জানান, গত শুক্রবার সাড়ে ৭টার দিকে কার্জন হল এলাকায় প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সামনের পুকুরপাড়ে তিনি সহপাঠি ইমরানের সঙ্গে পড়াশোনা বিষয়ক আলোচনা করছিলেন। এমন সময় একদল শিক্ষার্থী তাদের কাছে গিয়ে পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। তিনি মৌখিক পরিচয়সহ আইডি কার্ড দেখালে অভিযুক্তরা স্থান ত্যাগ করতে বলেন এবং তার চরিত্র সর্ম্পকে বাজে মন্তব্য করেন। ভুক্তভোগী আরও জানান, সঙ্গে থাকা সহপাঠি ইমরান বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে। এসময় পাশে থাকা সলিমুল্লাহ হলের এক বড়ভাই (তালহা জুবায়ের) এসে পরিস্থিতি সামলে চলে যেতে বলেন। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় অভিযুক্তরা তাদের সিনিয়রদের ফোন করে ডেকে নেয়। ওই সিনিয়ররা এসে আবারও মারধরের নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী থামাতে চেষ্টা করলে তাকেও বেধড়ক মারধর করেন। পরে আশেপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী তালহা জুবায়ের বলেন, গত শুক্রবার আমি ও আমার বন্ধু শহীদুল্লাহ পুকুর পাড় দিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলাম। এমন সময় কয়েকটি ছেলে-মেয়েকে তর্ক-বিতর্ক করতে দেখে আমি গিয়ে তাদের থামিয়ে দেই। পুকুর পাড় থেকে ঘুরে আসার সময় দেখি আবারও তাদের আটকে মারধর করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ছেলেটাসহ মেয়েটাকেও মারধর করছে। পরে আমি ও আশেপাশের থাকা কয়েকজন তাদের ধমক দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। পরে তারা সেখান থেকে চলে যায়। ঘটনার ব্যাপারে জানতে প্রক্টর মাকসুদূর রহমান বলেন, ঘটনাটি সর্ম্পকে অবগত আছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগপত্র প্রদান করেছে। ঘটনাটি তদন্তে দুজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিষয়ে জানাব। |
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |