সাংবাদিকতায় সবচেয়ে জরুরি শুদ্ধ দায়বোধের ডিগ্রি
সাইদুর রহমান রিমন
|
![]() সাংবাদিকতায় সবচেয়ে জরুরি শুদ্ধ দায়বোধের ডিগ্রি প্রিয় শান্তনু হাসান বরাবরই মোদ্দা কথা লিখেন, তার লেখায় মেদ ভুঁড়ি থাকে না বললেই চলে। তবে বেশিরভাগ লেখা স্রোতের প্রতিকূলে যায় বলেই ভিন্নমত পোষনেরও সুযোগ থাকে। ভিন্নমতকে তিনি স্বাগতও জানান। শান্তনু‘র লেখার একটি অংশ প্রশ্ন আকারে তুলে ধরলে তা দাঁড়ায়- “চিহ্নিত ডিগ্রিধারীদের মাঝে পেশার প্রতি অদম্য আবেগ, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, সমাজের প্রতি শুদ্ধ দায়বোধ, রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বশীল আনুগত্যতা যে থাকবে- তার নিশ্চয়তা কী?” প্রশ্নটা যৌক্তিক। তবে দায়বোধ, দায়িত্বশীলতার দোহাই দিয়ে, কবি নজরুল ইসলামকে মডেল দেখিয়ে গত দুই দশকে যে হারে গণ্ডমূর্খরা দলে দলে সাংবাদিকতায় ঢুকেছে- তাতে পেশার বারোটা বেজে গেছে অনেক আগেই। অন্যদিকে শুধু টাকা কামানোর ধান্দায় আসা দায়বোধহীন শিক্ষিত শ্রেণীর দ্বারা সাংবাদিকতার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। মনে রাখা উচিত স্বল্প শিক্ষিত কিংবা ভূয়ারা কখনই ইয়েলো জার্ণালিজমের জন্ম দিতে পারে না। বিদ্যা বুদ্ধির মারপ্যাচে নির্দ্দিষ্ট শ্রেণীই নানা যুক্তির কুটকৌশলে ঘটনা বদলে দেন, খবর পাল্টে দেন- জন্ম দেন অপসাংবাদিকতার। দুটি শ্রেণীই গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। এ কারণে, ডিগ্রিধারীদের জন্যই কেবল সাংবাদিকতা নিশ্চিত করতে চাইলে তাদের দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, সমাজের প্রতি শুদ্ধ দায়বোধ, রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বশীল আনুগত্যতা নির্ণয়ের ক্রাইটেরিয়া প্রস্তুত করাও জরুরি। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের এ ছবিটির ক্যাপশানের মতো সাংবাদিকতা নিয়েও দুঃখ ভারাক্রান্ত দীর্ঘশ্বাস শুনতে হতে পারে. লেখক : সাঈদুর রহমান রিমন, সিনিয়র সাংবাদিক
|
পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |