ফরিদপুর বিশ্ব ওলী মঞ্জিলে ২ দিন ব্যাপী উরস শরীফ ও ইসলামী মহাসম্মেলন সম্পূর্ণ
সেক মোহাম্মদ আফজাল,ফরিদপুর
|
ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার বিশ্বওলী মন্জিল বাইশরশিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো বিশ্ব উরস শরীফ ও ইসলামী মহাসম্মেলন। গত ১২ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত ১০টায় বাইশরশি মিল মাঠ প্রাঙ্গণে বিশাল এক মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহানশাহে তরিকত বিশ্ব ওলী খাজাবাবা শাহসূফী ফরিদপুরী (কুঃ ছেঃ আঃ) সাহেবের আধ্যাত্নিক উত্তরসূরী জাকের পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সাল। বিশ্ব উরস শরীফ ও মহাসম্মেলন প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন আজকের এই বিশ্ব উরস শরীফ ও ইসলামী মহাসম্মেলন দেশ ও জাতির কল্যানের জন্য, আমাদের দেশের মানুষ সুখ শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারে আমরা তাই চাই যদি কোন অশুভ শক্তি দেশকে ধংস করতে চায় আমরা তা কোন ভাবেই করতে দিবনা আমরা একত্রিত হয়ে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করবো, দেশ এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই প্রধান কাজ, এদেশের মানুষ এবং মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন ইসরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধে ফিলিস্তিনের নারী শিশু সহ লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করছে এসব বন্ধ করে বিশ্বে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আহবান জানান। মহাসম্মেলনে বিশ্বওলী খাজাবাবা ফরিদপুরীর সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করেন এবং জাকের পার্টির নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য দেন। বিশ্ব উরস শরীফ ও ইসলামী মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন বর্তমান দেশের দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে, তাই দেশের মানুষ স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে পারে এবং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ভাবে আরো সচ্ছল করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে জাকের পার্টির মহাসচিব জনাব শামীম হায়দার বক্তব্য রাখেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার থেকে সারা দেশের হাজার হাজার জাকেরান আসেকান মুমিন মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হয়ে বাইশরশি বিশ্ব ওলী মঞ্জিল জনতার সমুদ্রে রুপান্তরিত হয়ে যায়। কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, জিকির আসগর, ফরজ, সুন্নত এবং নফল এবাদত সহ মোরাকাবা মোসাহেদা বিশেষ মোনাজাত করেন উলামায়ে কেরামগন। ১৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে উরস শরীফ ও ইসলামী মহা সম্মেলন সমাপ্ত হয়।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |