টিকিটিং সিস্টেম বাতিল করে পুনরায় ওয়েবিলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে সমালোচনার মুখে গত ১০ ই আগস্ট ২০২২ সালে ওয়েবিলে ভাড়া আদায় বাতিল করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। ওয়েবিলে ভাড়া আদায় কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় আবার অধিকাংশ পরিবহন টিকিটিং সিস্টেম বন্ধ রেখে পুনরায় আবার ওয়েবিলে ভাড়া আদায় করছে। সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকার সিস্টেম মানছে না পরিবহনগুলো। গত ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলনে রাজধানীর ১৫ টি পরিবহন কোম্পানীর ৭১১ টি বাস ই টিকেটিং চালু করলেও বর্তমানে কোন পরিবহনই বিভিন্ন অজুহাতে ইটিকেটিং সিস্টেম মানছে না। ই টিকেটিং এর আওতায় আসার কথা ছিল আরো প্রায় ৪৫ টি কোম্পানির। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্তমানে কোন পরিবহনেই টিকিটিং সিস্টেম চালু নেই । তারা পুরনো নিয়মে ওয়েবেল সিস্টেমে ভাড়া আদায় করছে। রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর গামী ভূইয়া ও আলিফ পরিবহন ওয়েবিলের মাধ্যমে ভাড়া আদায় করছে। আব্দুল আজিজ শেওড়া থেকে বনানী যাওয়ার জন্য ভুইয়া পরিবহনে উঠলে বাসের কন্টাকটার তার নিকট ২০ টাকা ভাড়া দাবি করলে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। বাস কন্টাকটার আজিজ সাব কে ওয়েবিল দেখিয়ে বলে কুর্মিটোলা থেকে ওয়েবেলে আপনার ভাড়া ২০ টাকা গণনা করা হয়েছে। আপনি যদি আমাকে ১০ টাকা ভাড়া দেন তাহলে কোম্পানি কে আমার ১০ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। তাই ভাড়া কম নেয়ার সুযোগ নেই। বাস মালিককে টাকা জমা দেওয়ার সময় ওয়েবেলের হিসাব মত টাকা বুঝিয়ে দিতে হয়। শেওড়া থেকে বনানীর দূরত্ব ৪ কিলোমিটার সর্বনিম্ন ভাড়া হিসেবে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ১০ টাকা। তবে ওয়েবেল এর গণনার মধ্যে পড়ে গেলে অবশ্যই যাত্রীকে ২০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। আব্দুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর এর শিয়া মসজিদ পর্যন্ত ৪টি চেকিং পয়েন্ট রয়েছে প্রথমটি ৫ টাকা রাজলক্ষী দ্বিতীয়টি কুর্মিটোলা ২০ টাকা তৃতীয়টি বিজয় সরণি ২০ টাকা এবং চতুর্থটি শ্যামলী ৫ টাকা। চেকিংএ দায়িত্বপ্রাপ্ত একজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ওয়েবিলের মাধ্যমে যদি হিসেব না রাখা হয় তাহলে মালিকপক্ষ ঠিকমতো টাকা পায় না।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |