বাগমারায় প্রতিক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন নৌকার প্রার্থী
নতুন সময় প্রতিনিধি
|
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সাথে নির্বাচনী আচরণবিধি ঘোষণা করেছেন সিইসি। গত ১৫ নভেম্বর ঘোষণা করা হয় নির্বাচনী তফসিল। এরপর ১৮ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ। পরে ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর দলীয় প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনে এবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তিনবার তাহেরপুর পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তার ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে পারেনা। কোন চেয়ারম্যান, মেয়রকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হবে না বললেও সেটা মানা হয়নি। বাগমারায় তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দিয়ে একটি পৌরসভার মেয়রকে মনোনয়ন দেয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বন্টন করা হবে। এর আগে কেউ নির্বাচনী প্রতিক ব্যবহার করতে পারবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দিব্যি বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মেয়র আবুল কালাম আজাদের ছবি সম্বলিত নৌকার বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। এটা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মেয়র আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভয়ে অন্য দলের প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের আগে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড কিছুই সাটাতে পারছেন না। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পূর্বে প্রতিক সাটানো আচরণবিধি লঙ্ঘন করা। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থীতাা বাতিল ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে মেয়র আবুল কালাম আজাদের কর্মী-সমর্থকদের বেপরোয়া আচরণ। বিভিন্ন অফিস এবং ক্লাবে জোরপূর্বক প্রবেশ করে তিনবারের এমপি এনামুল হকের ছবি কেটে বাদ দিয়েছে। সেই সাথে লোকজনের বাড়ি হামলা। নির্যাতন, ভবানীগঞ্জ নিউ মার্কেটে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। ফেসবুকে লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রয়েছে। সর্বপরি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে বাগমারা জুড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,এফ,এম, আবু সুফিয়ান বলেন, এরই মধ্যে সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার জন্য চিঠি প্রদান করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রশাসন কাজ করছে। যে সকল প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
|
� পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ � |