|
শীত পড়তেই বাড়ছে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ, যেসব নিয়ম মানলে থাকবেন সুস্থ
নতুন সময় ডেস্ক
|
![]() শীত পড়তেই বাড়ছে সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ, যেসব নিয়ম মানলে থাকবেন সুস্থ চিকিৎসকদের মতে, শীতকালীন অসুস্থতা এড়াতে দৈনন্দিন অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলেই পুরো মৌসুমে সুস্থ থাকা সম্ভব। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত তুলে ধরেছে গণমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। চলুন, জেনে নেওয়া যাক— কী করবেন শীতের সময়ে অতিরিক্ত গরম পানি নয় শীতকালে অনেকেই খুব গরম পানিতে গোসল করেন, যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের স্বাভাবিক তেল ও আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। এর ফলে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক, চুলকানিযুক্ত ও র্যাশপ্রবণ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে হালকা গরম পানি সবচেয়ে নিরাপদ। গরম ও পুষ্টিকর খাবার বাছাই শীতকালে খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি ভাজা-পোড়া, মসলাদার বা লবণযুক্ত খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে হজমের সমস্যা তৈরি করে। প্যাকেটজাত খাবারে অতিরিক্ত তেল ও বারবার গরম করা উপাদান থাকে, যা হজমে বাধা দেয়। এ ছাড়া ফলের রসের পরিবর্তে সরাসরি ফল খাওয়া বেশি উপকারী। ঠাণ্ডা প্রকৃতির খাবার যেমন শসা বা পেপে শীতে কম খাওয়া ভালো। তাই, গরম স্যুপ, মুগ ডাল, খিচুড়ি, হালকা সবজি, বাদাম ও শস্যজাত খাবার খাওয়া উচিত। এগুলো শরীরকে ভেতর থেকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। ব্যায়ামেই মিলবে ফিটনেস শীতকালে ঘাম কম হয়, ফলে শরীরের ক্যালরি বার্নও কমে। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম জরুরি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হাঁটা, যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ভালো ফল দেয়। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগীদের ঠাণ্ডায় ভোর বা রাতে ব্যায়াম ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাদের জন্য দুপুর বা বিকেলে ব্যায়াম করা নিরাপদ। তবে ব্যায়ামের আগে হালকা ওয়ার্ম আপ করলে হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমে। প্রস্রাব চেপে রাখা বিপজ্জনক শীতে অনেকেই ঠাণ্ডার কারণে প্রস্রাব আটকে রাখেন, যা বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, প্রস্রাব চেপে রাখলে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা না মানলে সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে যেতে পারে। আবার শীতে তৃষ্ণা কম লাগে বলে অনেকেই পানি কম পান করেন। এতে কিডনির ওপর চাপ পড়ে এবং পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে যা মনে রাখা জরুরি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালীন পরিবর্তন আনার আগে রোগীর ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থান, বয়স, রোগ, সহনশীলতা বিবেচনা করা জরুরি। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঠিক অভ্যাস মেনে চললে শীতকাল হয়ে উঠতে পারে, প্রাণবন্ত, শক্তি বাড়ানো এবং সুস্থ থাকার উপযোগী একটি ঋতু। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
