|
ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, শেষ পোস্টে যা লিখেছিলেন
নতুন সময় প্রতিবেদক
|
![]() ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, শেষ পোস্টে যা লিখেছিলেন আত্মহত্যার আগে সুমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘SORRY 2 ME….’ অর্থাৎ নিজের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করা। সুমি খাতুনের মৃত্যুর খবর প্রথমে ফেসবুকে শেয়ার করেন আব্দুস সালাম নামের এক ব্যক্তি। পরিবার ও সহপাঠীদের বরাতে জানা যায়, সুমি দীর্ঘদিন ধরে বিরল রোগ ফাইব্রাস ডিসপ্লেশিয়া এবং গুরুতর শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। রোগের কারণে তার হাড় ক্ষয়ে গিয়েছিল এবং একাধিকবার অস্ত্রোপচার করলেও পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। দীর্ঘদিনের তীব্র ব্যথা, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা এবং শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তবু অসুস্থতা সত্ত্বেও সুমি সব সময় স্বাভাবিক জীবনযাপন ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সহপাঠীরা জানান, পরিবারের জন্য কিছু করতে না পারার আক্ষেপ এবং ক্রমাগত যন্ত্রণায় ক্লান্ত হয়ে তিনি একা একাই লড়াই করতে করতে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামলাতে পারেননি। হয়তো এই বিরল রোগের কারণেই তাকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। সুমির ছোট খালা মোসা. কাঞ্চনী জানিয়েছেন, ভোরে ফজরের নামাজের আগে সুমির বাবা-মা তার রুমে গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। পরে রশি কেটে নামানো হয়। সকালে পুলিশ এসে তার চিকিৎসা ও রোগের রিপোর্ট দেখে এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের পর বিষয়টি থানায় রেকর্ড করা হয়। সুমির মৃত্যুতে এলাকায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
