|
ধর্মপাশায় ৭০ বছরের বসতভিটা নিয়ে বিরোধ দু- পক্ষ সংঘর্ষে আহত-২
শাহ মোঃ মনির হোসেন ধর্মপাশা
|
![]() ধর্মপাশায় ৭০ বছরের বসতভিটা নিয়ে বিরোধ দু- পক্ষ সংঘর্ষে আহত-২ স্থানীয়' রা বলেন- এস.এ. রেকর্ড অনুযায়ী জায়গাটির মালিক ছিলেন বকুল মিয়া'র পিতা- মৃত গোলাম হোসেন নামে রেকর্ড ভুক্ত জমি। গোলাম হোসের মৃত্যুর পর ছেলে বকুল মিয়া ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন এবং প্রায় ৭০ বছর ধরে পরিবারসহ বসবাস করেন এই জায়গায়। কিন্তু অভাব-অনটনে পড়ে বকুল মিয়া স্ব পরিবার কে নিয়ে সিলেটে চলে যায়। বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার আগে বকুল মিয়া'র চাচাতো ভাই আব্দুল হাই, এর কাছে বাড়ীটির দেখাশোনার জন্য দায়িত্ব দিয়ে যান। ভূমি জরিপের সময় কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়ে জানতে চান—এই ঘর কার? তখন আব্দুল হাই, তার চাচাতো ভাই জমির প্রকৃত মালিক বকুল মিয়া'র নাম গোপন রেখে নিজের নাম বলেন, আর ভুলবশত ওই জমি তার নামেই রেকর্ড হয়ে যায়। ভুল রেকর্ডের পর আব্দুল হাই রেকর্ড মূল্যে জায়গাটি বিক্রি করেন প্রতিবেশী আজব আলীর কাছে, কিন্তু সরজমিনে জায়গা বুঝাতে না পারায় আজব আলী টাকা ফেরত নেন। এর প্রায় তিন বছর পর, আব্দুল হাই একই জায়গা আবার বিক্রি করেন আজব আলীর ছোট ভাই আছাব আলীর কাছে, দলিলের কাজ শেষ হলেও জায়গা বুঝিয়ে দিতে না পারায় সালিশ বৈঠক হয়। সালিশের মাধ্যমে আছাব আলী টাকা ফেরত নিলেও, আব্দুল হাইয়ের কাছে দলিল ফেরত দেননি আছাব আলী। এদিকে প্রকৃত মালিক বকুল মিয়া যখন সিলেট থেকে এসে খবর পান যে তাঁর জায়গা অন্যের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তখন থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ আর দাবির নতুন অধ্যায়। বকুল মিয়ার উদ্যোগে আরেক দফা সালিশ ডাকেন সেলবরষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ এবং স্থানীয় গন্যমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশে সিদ্ধান্ত হয়, যদি আছাব আলীর নামে নাম খারিজ হয়ে আসে, তাহলে এই জায়গা বকুল মিয়াকে দলিল করে দেওয়া হবে। কিন্তু নাম খারিজ হওয়ার পর আছাব আলী তার সালিশে দেওয়া মতামত বদলিয়ে ফেলেন— তিনি আর এই জায়গাটি বকুল মিয়া কে দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনার পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ইতোমধ্যে থানা ও আদালতে দুটি মামলা চলছে। এদিকে আছাব আলী তার বক্তব্য বলেন- আমার দলিল সঠিক ও দলিল অনুযায়ী নামজারি করে জায়গার মালিক। আমি সঠিক কাগজে জায়গা কিনেছি, নাম খারিজও আমার নামে। তারপরও ওরা ঝগড়া করে। আমরা আইনের বিচার চাই।” স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলছেন, এই বিরোধের মূল কারণ — জরিপে ভুল রেকর্ড ও ভূমি ব্যবস্থার ত্রুটি। এমন ভুল সংশোধনে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায়, আজ গ্রামজুড়ে চলছে বিভেদ ও মামলা। সেলবরষ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ বলেন- কয়েকবার সালিশ দরবার করেছি,কিন্ত আছাব আলী শালিস দরবারকে অমান্য করে, সহজ সরল বকুল মিয়ার পরিবারে উপর হামলা করেছে। প্রকৃত পক্ষে জায়গা টি এস এ রেকর্ড মালিক বকুল মিয়া পিতা- মৃত গোলাম হোসের। ধর্মপাশা প্রশাসন কাছে অনুরোধ করি, যাতে এই মামলা টি সুন্দর একটা বিচারের মাধ্যমে যেন দৈঘ্য দিনের জমি বিরুদ্ধে ঝামেলা টি শেষ করে দেন। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত ইর্নচাজ এনামুল হক বলেন, বকুল মিয়া একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। মামলাটি তদন্ত দায়িত্ব রয়েছেন, এএসাই পলাশ চৌধুরী,তদন্ত পর অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। |
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
