ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
শুক্রবার ৭ নভেম্বর ২০২৫ ২১ কার্তিক ১৪৩২
কিটের অভাব, ঢাকার বাইরে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Wednesday, 11 June, 2025, 10:36 AM

কিটের অভাব, ঢাকার বাইরে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না

কিটের অভাব, ঢাকার বাইরে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না

করোনা শনাক্তের কিট সংগ্রহে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও দেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে কিছু কিট স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এসেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর  বলেন, জরুরি চাহিদার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ২৮ হাজার দ্রুত শনাক্ত কিট দিয়েছে গতকাল। আজ ১০ হাজার আরটিপিসিআর কিট দেওয়ার কথা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের কাছে ১ লাখ আরটিপিসিআর কিট ও ৫ লাখ দ্রুত শনাক্তকরণ কিট চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছে কিট বিক্রি করত, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর পাশাপাশি ঢাকায় চীনা দূতাবাসের সঙ্গেও কথা হয়েছে।


নতুন ধরনের করোনা ‘এক্সএফজি’ শনাক্ত, ভারত ভ্রমণে সতর্কবার্তা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ জনের। পরীক্ষা হওয়া ১০১ জন ও শনাক্ত ১৩ জনের সবাই ঢাকা শহরের। এর অর্থ ঢাকার বাইরে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না।

এক সপ্তাহে একাধিক জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা শহরে। কক্সবাজার জেলার সিভিল সার্জন মাহমুদুল হক জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলায় এ মাসে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, একজন রোহিঙ্গাশিবিরের। কক্সবাজারে আরটিপিসিআর করার সুযোগ আছে। তবে দ্রুত করোনা পরীক্ষার কিট নেই। চট্টগ্রাম জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় গত ১০ দিনে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরটিপিসিআর থাকলেও জেলায় কোনো দ্রুত পরীক্ষার কিট নেই।

বরিশাল বিভাগের কোনো জেলায় করোনা পরীক্ষার কোনো ধরনের কিট নেই বলে বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রথম আলোকে জানানো হয়েছে। সিলেট জেলাতেও কোনো পরীক্ষার কিট নেই বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।


করোনা বাড়ছে, পরীক্ষার কিট সংকট, টিকার মজুত কম 
জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যতটুকু পরীক্ষার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ দ্রুত ও বেশি ছড়িয়ে পড়লে তা ঝুঁকি বাড়াবে। সুতরাং সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিপর্যায়ে, সামাজিক পর্যায়ে ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো পর্যন্ত বিশেষ কোনো সতর্কতা জারি করেনি। তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, ২, ৪, ৬ ও ৮ জুন স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনলাইনে করোনা বিষয়ে সভা করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলার সব সিভিল সার্জনকে, সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা কী আছে, টিকা দেওয়ার প্রয়োজন হলে কীভাবে তা দেওয়া হবে, এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা হচ্ছে।


টিকা নিয়ে সংশয়

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যালয় জানিয়েছে, তাদের কাছে ৩১ লাখ টিকা মজুত আছে। এই টিকা ফাইজার কোম্পানির। এর মধ্যে ১৭ লাখের বেশি টিকার মেয়াদ শেষ হবে ৫ আগস্টের মধ্যে। গত দুই মাসে এই টিকাগুলো বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর এ বিষয়ে  বলেন, ফাইজারের এই টিকা তৈরি করা হয়েছিল করোনার মূল ভাইরাসকে মাথায় রেখে। বাংলাদেশে এখন ছড়িয়ে পড়া ধরনের ক্ষেত্রে তা কতটা কার্যকর, তা নিয়ে কারও কারও সংশয় আছে। এ ব্যাপারে কারিগরি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। সেই কমিটি গঠনের কাজ চলছে।


করোনাভাইরাস
বাংলাদেশে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন এখন ছাড়িয়ে পড়ছে। এই উপধরনটিকে বলা হচ্ছে জেএন–১। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, নতুন এই উপধরনের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে কম।

তবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার খবরটি এসেছে ঠিক ঈদের সময়। এ সময় বহু মানুষ পশুর হাটে একত্রিত হয়েছেন। ছুটিতে বড় বড় শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার সময় মানুষকে দীর্ঘ সময় বাস–ট্রেন–লঞ্চে ভিড়ের মধ্যে থাকতে হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও ভিড় ছিল প্রচণ্ড। এসবই সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।



স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত মানুষ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনের। মহামারির শুরু থেকেই মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর ও জনস্বাস্থ্যবিদ মোশতাক হোসেন গতকালও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করতে হবে, জ্বর–কাশি–শ্বাসকষ্ট থাকলে সুস্থ মানুষ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।

পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক : নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: info@notunshomoy.com
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: এমদাদ আহমেদ | প্রকাশক : প্রবাসী মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন লি.-এর পক্ষে কাজী তোফায়েল আহম্মদ | কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status