টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Sunday, 1 September, 2024, 6:01 PM
টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগমের পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রোববার(১ সেপ্টেম্বর) শহরের জেলা সদর রোডস্থ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে গেলে অধ্যক্ষের স্বামী হারুন অর রশিদ তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বাঁধা উপেক্ষা করে স্কুলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের নানা বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ছাত্রীরা হিজাব পড়ে ক্লাসে ঢুকতে গেলে অধ্যক্ষের নির্দেশে তাদেরকে মূল ফটকে(গেট) বাঁধা দেওয়া হয়। তাছাড়া স্কুলের কয়েকজন শিক্ষকও অধ্যক্ষের নির্দেশে প্রতিনিয়ত ছাত্রীদের হিজাব পড়তে নিষেধ করছেন। সম্প্রতি হিজাব পড়াকে কেন্দ্র করে এক অভিভাভকের সাথে শিক্ষকদের কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি জানাজানির পর অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদে অভিভাবকরা রোববার সকালে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তারা স্কুলের সামনে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে গেলে অধ্যক্ষের স্বামী হারুন অর রশিদ তার লোকজন নিয়ে বাঁধা দেন। এ সময় তারা ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর অভিভাবকরা অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে। ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে অভিভাবকরা প্রায়ই অধ্যক্ষের কাছে লাঞ্ছিত হন। স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোন টিফিন টাইম নেই। শিক্ষার্থীরা অনেকটা পালিয়ে পালিয়ে টিফিন করে থাকে। এছাড়া কোচিং বাণিজ্য, বই খাতা-কলমসহ সকল শিক্ষা সরঞ্জাম স্কুল থেকে অনেক বেশি দামে কিনতে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। তবে আন্দোলনকারী অভিভাবকরা সংবাদ প্রকাশে তাদের নাম ব্যবহার না করার অনুরোধ করেন।
টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম জানান, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। স্কুলে শিক্ষার্থীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়নি বলেও জানান তিনি।