ই-পেপার সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২
ই-পেপার |  সদস্য হোন |  পডকাস্ট |  গুগলী |  ডিসকাউন্ট শপ
বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
হাসপাতাল থেকে সেই নারী চিকিৎসকের বাসায় তিনবার ফোন দেয়া হয়
নতুন সময় প্রতিবেদক
প্রকাশ: Saturday, 31 August, 2024, 1:07 PM

হাসপাতাল থেকে সেই নারী চিকিৎসকের বাসায় তিনবার ফোন দেয়া হয়

হাসপাতাল থেকে সেই নারী চিকিৎসকের বাসায় তিনবার ফোন দেয়া হয়

কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যে ট্রেইনি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে সেই হত্যাকাণ্ডের পর তার পরিবারকে তিনবার ফোন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ( ২৯ আগস্ট) তিনটি ফোনকলের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।


এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদন করেছে কিন্তু ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া চিকিৎসকের বাবা-মা এর আগে গণমাধ্যমকে হাসপাতাল থেকে প্রথম তথ্য পাওয়ার বিষয়ে যা বলেছিলেন তা মিলেছে।
 
তারা এর আগে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন হাসপাতাল থেকে একজন নারী তাদেরকে ফোন করে মেয়ের মারা যাওয়ার খবরটি দিয়েছিল। তখন তিনি তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিলেন তিনি হাসপাতালের একজন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট যদিও নাম প্রকাশ করেননি।
 

 
১৪ আগস্ট, ডা অরুণাভা দত্ত চৌধুরী যিনি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটার সময় বক্ষ বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন যে ফোন তিনটি একজন নন-মেডিকেল সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট সুচরিতা সরকার করেছিলেন।
 
সুচরিতা সরকার যাকে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, ৯ অগাস্ট থেকে এখন পর্যন্ত তিনি মিডিয়ার মুখোমুখি হননি।

এদিকে প্রথম ফোনকলে চিকিৎসকের বাবাকে তিনি বলেছিলেন, আপনার মেয়ে খুব অসুস্থ এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপনারা কি তাড়াতাড়ি আসতে পারবেন?
 
যখন তার বাবা জিজ্ঞেস করেন কি হয়েছে, তখন তিনি বলেন, আপনার মেয়ের শরীর ভালো নেই। তার কী হয়েছে চিকিৎসকরা তা বলতে পারবেন। আমরা আপনার নম্বর খুঁজে পেয়েছি সেই কারণেই আপনাকে জানানোর জন্য কল করছি।
 
দ্বিতীয় ফোনকলে তিনি বলেছেন আপনার মেয়ে খুব অসুস্থ এবং তাকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আমি বলতে পারব না ওর কি হয়েছে। শুধু ডাক্তাররাই বলতে পারবেন। আপনি কি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসতে পারবেন?
 
চিকিৎসকের বাবা ওই নারীর পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট। আমি ডাক্তার নই।
 
তৃতীয় ফোনকলে, তিনি বলেছিলেন, সে সম্ভবত আত্মহত্যা করেছে। হয়তো সে মারা গেছে। পুলিশ এবং আমরা সবাই এখানে আছি। যত তাড়াতাড়ি পারেন চলে আসেন। চিকিৎসকের বাবা ফোনটি স্পীকারে রেখেছিলেন যাতে তার স্ত্রীও কথোপকথন শুনতে পারে।
 
অন্যদিকে যখন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় ৯ আগস্ট ভোর ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে ওই নারী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে তখন হাসপাতালের কর্মকর্তারা দাবি করেন সকাল ৯টার দিকে জরুরি ভবনের তৃতীয় তলায় বক্ষ বিভাগের সেমিনার হলে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
 

 
নারী চিকিৎসকের বাবা ৯ আগস্ট বলেছিলেন তিনি সকাল ১০.৫৩ মিনিটে  হাসপাতাল থেকে প্রথম কল পান এবং পরবর্তীতে তিনি এবং তার স্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে আরও দুটি কল পান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলের সময় তিনি উল্লেখ করেননি।
 
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বসবাসকারী চিকিৎসকের পিতামাতা বৃহস্পতিবার অডিও ক্লিপগুলো সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মিডিয়ার ফোন রিসিভ বরেননি।
 
এর আগে তারা অভিযোগ করেছিলেন কলকাতা পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উভয়ই তাদের কাছ থেকে তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছে এবং সঠিক তদন্ত করেনি।

� পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ �







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: নাজমুল হক শ্যামল
দৈনিক নতুন সময়, গ্রীন ট্রেড পয়েন্ট, ৭ বীর উত্তম এ কে খন্দকার রোড, মহাখালী বা/এ, ঢাকা ১২১২।
ফোন: ৫৮৩১২৮৮৮, ০১৯৯৪ ৬৬৬০৮৯, ইমেইল: [email protected]
কপিরাইট © দৈনিক নতুন সময় সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft
DMCA.com Protection Status