কুড়িগ্রামের চরের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে স্কুল উদ্বোধন
আহম্মেদুল কবির, কুড়িগ্রাম
প্রকাশ: Tuesday, 4 June, 2024, 6:44 PM
ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল ০৩ জুলাই বিকেলে কালির আলগা চরে নির্মিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুল আলম হালিম। এসময় উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ, চরের স্থানীয় বিভিন্ন যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দে,সদস্য, ময়মুরুব্বি ও সুধীগন উপস্থিত ছিলেন।
স্কুলটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুল আলম হালিম বলেন, চরের শিশুরা যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয় বিষয়টি চিন্তা করে স্কুলটি স্থাপন করা হলো, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্মার্ট চর এর মাধ্যমে চরের মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন করা। এরই ধারাবাহিকতায় এখানে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া কালির আলগা চরের মানুষ যেন বন্যায় কষ্ট না পায় সে লক্ষ্যে বাড়ি ভিটে উঁচুকরণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্যার সময় এই চরে কেউ মারা গেলে দাফন করা যেত না। মরদেহ নিয়ে যেতে হতো নৌকাযোগে যাত্রাপুরে। এমন অমানবিক কষ্ট লাঘবে আমরা এখানে একটি উঁচু স্থানে কবরস্থান করেছি।
নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য ও অন্যান্যদের বক্তব্য শেষে স্কুলগামী শিশুদের বেশকিছু গল্পের বই, শিশুদের ক্রীড়া সামগ্রী ফুটবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট সেট ও জাম্পিং দড়ি উপহার দেয়া হয় এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ফুটবল, মোরগ লড়াই ও দড়ি লাফে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া চরে বসবাসকারীদের ৫০০টি বিভিন্ন ফলের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
স্কুলটি উদ্বোধনের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে স্থানীয়রা জানান, অনেক উপকার হলো এই চরবাসীর, এই চরে প্রায় ১৬-১৭ শত খানা রয়েছে, এখানে গড়ে প্রায় ৫-৬ হাজার লোক বসবাস করে, প্রায় ৫ শত শিশু কিশোর রয়েছে। এই শিশু কিশোরদের জন্য এই চরে এতোদিন কোন স্কুল ছিলো না। এতে অনেক ছেলে- মেয়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কিছুকিছু ছেলে-মেয়ে এতোদিন নদীপার হয়ে দুরের স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতো। এতে অনেক অসুবিধা হতো, এখানে স্কুল নির্মিত হওয়ায় খুব ভালো লাগছে। এজন্য স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।