বরগুনার পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডবে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ ও টানা বৃষ্টিতে কৃষকের উৎপাদিত প্রায় ৭'শ হেক্টর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর কারণে বেশ কিছু জায়গায় প্রবেশ করেছে লবন পানি, এতে প্রান্তিক চাষিদের শত শত হেক্টর উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের এখন কপালে হাত উঠেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রান্তিক কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, বেড়িবাঁধ ভেঙে লবন পানি প্রবেশ করায় উপজেলার শত শত কৃষকের ক্ষেতের আউশ ধান, পান, পেপে,কলা শাক সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা জুড়ে এবারের ঘূর্ণিঝড়ে- আউশ ৪'শ ৭০ হেক্টর, পান ১৮ হেক্টর, পেপে ৫ হেক্টর, কলা ১০ হেক্টর, শাকসবজি ২'শ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলার কৃষকরা জানান, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী দিয়ে নোনা পানি উপকূলে প্রবেশ করায় আমাদের সকল ফসল নষ্ট হয়েছে, পুরো এলাকার সবার ক্ষেত আজ ৬ দিন ধরে ডুবে আছে। ক্ষেতে জমেছে নোনা পানি, যাতে সামনের দিনেও ফসল নিয়ে শঙ্কায় আছি আমরা।
সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিবে বা কৃষকদের প্রণোদনা দিবে কিন্তু প্রণোদন হিসেবে যদি নগদ টাকা দেওয়া হয় তা ভিন্নখাতে খরচ হয়ে যাবে। এজন্য বিকল্প চিন্তা করতে হবে। যেমন আগামী কৃষি চাষের সময় লবণ সহিংসতা এবং কৃষি জমিতে কৃষি চাষ উপযোগী করতে লবণ পানি নিষ্কাশন করে সাহায্য পানি উঠানোর ব্যবস্থাও এই প্রণোদনায় আনতে হবে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।