|
দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে : আব্দুর রাজ্জাক
নতুন সময় ডেস্ক
|
|
দেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে : আব্দুর রাজ্জাক বুধবার (৬ মার্চ) গুলশানের একটি হোটেলে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ২০২৩ বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি, কিন্তু অনেক সামাজিক সূচকে তারা আমাদের থেকে পিছিয়ে। তাদের অনেক এলাকায় এখনো চরম দারিদ্র্য রয়েছে। আর পাকিস্তান এখন আমাদের প্রায় সব সূচকে পিছিয়ে। এখন আমরা টেকসই উন্নয়নের সঠিক পথে রয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তায় অনেক এগিয়েছি। এখন কৃষি অনেক আধুনিক, বাণিজ্যিক। চাষীদের সামাজিক গুরুত্বও বেড়েছে। চাষাবাদে এখন মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক তরুণ জিন্স প্যান্ট পরে চাষাবাদ করছেন। তরুণদের আরও সহযোগিতা ও সুবিধা দেওয়া হলে দেশ এগিয়ে যাবে। সেজন্য কৃষি সংশ্লিষ্টদের দরদি হতে হবে। সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে কিনোট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন
নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেল্থ-এর সহকারি অধ্যাপক
ড. বর্ণালী চক্রবর্তী। ওই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯, যা গত বছর ছিল ১৯ দশমিক ৬। ফলে গত বছরের তুলনায় সামান্য উন্নতি করেছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০১৪ সালে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬.৩। আর ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৮। ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতার দিক থেকে ১২৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১তম। বাংলাদেশ বর্তমানে ‘মাঝারি মাত্রার’ ক্ষুধায় আক্রান্ত দেশ। চলতি বছরের ক্ষুধা সূচকে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (বিশ্ব ক্ষুধা সূচক) ২০২৩ বিশ্বব্যাপী গত কয়েকমাস আগে প্রকাশিত হয়। প্রতিবছর আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানভিত্তিক ভেল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এ সূচক প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান,
মহাপরিচালক, ডিপার্টমেন্ট অফ ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট, বাদল চন্দ্র বিশ্বাস,
মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মোঃ শহীদুল আলম এনডিসি,
মহাপরিচালক, ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট, খাদ্য মন্ত্রনালয়, ড.
মোঃ মাহবুবুর রহমান, মহা পরিচালক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিল,
ফ্লোরিয়ান হোলেন, কাউন্সিলর, হেড অফ জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন,
জার্মান এম্বাসি ঢাকা। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন
ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার, কনসার্ন
ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিশ কুমার আগারওয়াল, হেলভিটাস
বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীম আহমেদ এবং ড. মোঃ রাজু আহমেদ,
ডেপুটি সেক্রেটারি অ্যান্ড কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর, কৃষি বিপনন অধিদপ্তর,
কৃষি মন্ত্রনালয়।
|
| পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ |
